নারী-চরিত/মার্গ্রেট রোপর

উইকিসংকলন থেকে

মার্গ্রেট রোপর।

 মার্গ্রেট রোপর ১৫০৮ খৃষ্টাব্দে ইংলণ্ড দেশে জন্ম পরিগ্রহ করেন। ইনি ঐ রাজ্যের সর্ব্ব প্রধান রাজকর্ম্মচারী সার টমাস্‌ মুরের জ্যেষ্ঠাকন্যা। মুরসাহেব স্বয়ং সদ্বিদ্বান্ লোক ছিলেন, সুতরাং কন্যার রীতিমত বিদ্যা শিক্ষার ভার কতিপয় বিখ্যাত পণ্ডিতের হস্তে সমর্পণ করেন। কুমারী মাগ্রেট স্বভাবতঃ অতিশয় বুদ্ধিমতী, তাহাতে আবার পণ্ডিতবর্গের সমধিক যত্নলাভ হওয়াতে অতি অল্প কাল মধ্যেই গ্রীক ও লাটিন ভাষায় বিশেষ, ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া পিতার যথেষ্ট স্নেহের পাত্রী হন। এবং পিতা কর্ত্তৃক উৎসাহিত হইয়া তিনি, জ্যোতিষ বিজ্ঞান, ন্যায়, অলঙ্কার ও গণিত শাস্ত্র এবং সঙ্গীত বিদ্যার আলোচনা করিয়া ঐ সকল বিষয়ে বিলক্ষণ পারদর্শিনী হইয়া উঠেন। মুরসাহেব স্বীয় কন্যার লেখাপড়ারপড়ার প্রতি অসামান্য যত্ন ও অনুরাগ দেখিয়া পরম আহ্লাদিত হইয়াছিলেন।

 যদিও তিনি আপন সন্তানদিগকে তুল্যরূপ স্নেহ করিতেন, তথাপি জ্যেষ্ঠা কন্যার অসাধারণ বিদ্যাবুন্ধির পক্ষপাতী হইয়া তাঁহাকে সবিশেষ স্নেহ ও সমাদর করিতে লাগিলেন। লাটিন ভাষায় প্রবন্ধ রচনা করিতে মার্গ্রেটের অতি চমৎকার শক্তি জন্মিয়াছিল। তৎকৃত কোন কোন রচনা লোক সমাজে প্রচারিত হইলে, জনসাধারণে মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছিল, যে মার্গ্রেট রচনা বিষয়ে তাঁহার পিতাকে অতিক্রম করিয়াছেন। তাঁহার জনক, কন্যার এতাদৃশ রচনা শক্তির প্রশংসা শুনিয়া যৎপরোনাস্তি আনন্দিত হন ও তদীয় সমধিক জ্ঞানোন্নতির জন্য স্বয়ং তাঁহার সহিত বিবিধ বিষয়ের বাদানুবাদ আরম্ভ করেন। তাহাতে মার্গ্রেটের রচিত কয়েকটী পত্র এরূপ উৎকৃষ্ট হইয়াছিল, যে তাঁহার পিতা, সেই পত্রগুলি কয়েক জন বিখ্যাত পণ্ডিতের হস্তে প্রদান করিলে, তাঁহারা পাঠ করতঃ প্রচুর প্রশংসা করিয়াছিলেন।

 মার্গ্রেট, লাটিন ভাষায় বহু প্রকার কাব্য ও প্রবন্ধ রচনা করিয়া প্রচারিত করেন। তাঁহার রচিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে গ্রীক ভাষা হইতে লাটিনে অনুবাদিত “ধর্ম্মবিষয়ক পূরাবৃত্ত” নামক গ্রন্থ, সর্ব্বপ্রধান ও বিশেষ আদরণীয় বলিয়া প্রসিদ্ধ। যদিও তিনি অনবরত বিদ্যানুশীলনে নিযুক্ত থাকিতেন, তথাপি কখন সাংসারিক কার্য্যে

তাচ্ছীল্য প্রদর্শন করেন নাই। যাহাতে গার্হ্যস্থ ধর্ম্মের উন্নতি ও সুশৃঙ্খলা রক্ষা হয়, তদ্বিষয়ে একান্ত মনে যত্ন করিতেন। মার্গ্রেটের স্বভাব, তাঁহার পিতার অনুরূপ ছিল, তিনি স্বভাবতঃ ধীর, দয়ার্দ্র, নির্ম্মলবুদ্ধি ও মেধাবিনী, বিশেষতঃ জনক জননীর প্রতি অত্যন্ত ভক্তিমতী ছিলেন। বিবাহের পূর্ব্বেই তিনি বিদ্যাবতী ও সচ্চরিত্রা বলিয়া সর্ব্বত্র প্রসিদ্ধা হন।

 অনন্তর মার্গ্রেট, এক উৎকট পীড়ায় আক্রান্ত হইলেন। দিন দিন পীড়া বৃদ্ধি হইতে লাগিল। তাঁহার আত্মীয় স্বজনেরা আরোগ্য লাভে সন্দিহান হইয়া একান্ত ক্ষুন্ন, ও তাঁহার জনক, প্রিয়তম দুহিতার প্রাণনাশের সম্ভাবনা বুঝিতে পারিয়া, অতিশয় কাতর হইয়াছিলেন। তিনি অহর্নিশি নিভৃত স্থানে কন্যার পীড়াশান্তি হেতু ঈশ্বর সন্নিধানে প্রার্থনা করিতেন। সুনিপুণ চিকিৎসকেরা, তদীয় রোগ অপ্রতীকার্য্য জানিয়া চিকিৎসায় ক্ষান্ত হইলে, পরিশেষে সৌভাগ্য ক্রমে এক সামান্য ঔষধ সেবনে তাঁহার জীবন রক্ষা হইল।

 এই রূপে স্বাস্থ্য লাভ করিয়া, মার্গ্রেট ১৫২৮ খৃষ্টাব্দে উইলিয়ম্‌ রোপর নামক এক সদ্‌গুণ সম্পন্ন ব্যক্তিকে বিবাহ করেন। রোপর স্বভাবতঃ বিদামোদী ও ধর্ম্মানুরাগী ছিলেন, প্রতিনিয়ত জ্ঞানলাভ জন্য নানাবিধ গ্রন্থ অধ্যয়ন করিতেন। বিবি রোপর অতঃপর স্বামির সহিত একত্রিত হইয়া বিজ্ঞান ও ধর্ম্মশাস্ত্রের অনুশীলনে প্রবৃত্তা হন। অপরিসীম বিদ্যা বুদ্ধির নিমিত্ত মার্গ্রেট রোপর তৎকালবর্ত্তী সমস্ত পণ্ডিত মণ্ডলীর নিকট অতিশয় সমাদৃতা হন; ফলতঃ সকলেই তাঁহাকে এক অপরূপ স্ত্রীরত্ন বলিয়া জ্ঞান করিত।

 কালক্রমে তাঁহার দুই পুত্র ও তিন কন্যা জন্মে। তিনি তাহাদিগের বিদ্যা শিক্ষার ভার স্বয়ং গ্রহণ করিয়া অত্যন্ত যত্ন সহকারে, যথানিয়মে শিক্ষা প্রদান করেন। মাতার নিকট, রীতিমত শিক্ষা প্রাপ্ত হইলে, শিশুরা যে স্বল্পায়াসে উত্তমরূপে শিক্ষিত হইতে পারে, বিবি বোপর তাহার সম্যক্‌রূপ দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছেন। তদীয় উপদেশ গুণে তাঁহার সন্তানেরা অল্প কাল মধ্যে বিবিধ বিদ্যায় পারদর্শী হইয়া উঠেন। অবশেষে অশেষ বিষয়ের উন্নতি সাধন করিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের পদ প্রাপ্ত হন।

 মার্গ্রেট অনেক সময়ে পরিবার মধ্যগত হইয়া সুখ সচ্ছন্দমনে জ্ঞানচর্চ্চা করিতেন। একদা ঐ রূপ জ্ঞানালোচনা করিতেছেন, এমত সময়ে সহসা তিনি শ্রবণ করিলেন, যে রাজবিদ্রোহী অপরাধে তাঁহার পিতার কারাবাসের আজ্ঞা হইয়াছে। এই সংবাদ শ্রবণ মাত্র এক কালে তাঁহার সকল সুখের অবসান হইল।

 ইংলণ্ডের সম্রাট্‌ অষ্টম হেন্‌রি, আপন পত্নী ক্যাথারাইনকে বিনা অপরাধে ত্যাগপত্র প্রদান পূর্ব্বক এনিবইলিনকে বিবাহ করিলে, সার টমাস মুর আপন প্রভুর এই অন্যায় আচরণে অত্যন্ত উত্যক্ত হইয়া তাঁহার প্রতি দোষারোপ করতঃ আপন পদ পরিত্যাগ করেন। সম্রাট্‌ তাঁহাকে পুনর্ব্বার পদ গ্রহণ করিতে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিলে, তিনি কোন ক্রমে তাহাতে সম্মত হন নাই। অতএব সম্রাট্‌ অতিশয় ক্রোধ পরবশ হইয়া বৈরনির্যাতন হেতু তাঁহার প্রতি রাজবিদ্রোহী অপবাদ দিয়া তাঁহাকে দুর্গ মধ্যে রুদ্ধ করিলেন।

 মার্গ্রেট রোপর তখন অত্যন্ত ব্যাকুলা হইয়া কৌশল পূর্ব্বক দুর্গ মধ্যে পিতার নিকট উপস্থিত হইলেন ও সজল নেত্রে কহিতে লাগিলেন; পিতঃ! আপনি পুনরায় পদ গ্রহণকরুন, নতুবা আমাদিগের ঘোর বিপদ দেখিতেছি। মুরসাহেব অতিশয় ধর্ম্মনিষ্ঠ লোক ছিলেন, প্রাণ পণে কর্ত্তব্য অনুষ্ঠানে বিরত হইতেন না, সুতরাং তিনি যে স্নেহের বশীভূত হইয়া কন্যার অন্যায় অনুরোধ রক্ষা করিবেন, তাহার সম্ভাবনা ছিল না। তিনি পরক্ষণেই অসম্মতি প্রকাশ করিয়া কহিলেন, “কন্যে! যদিও আমি তোমাকে আপন প্রাণাপেক্ষা অধিক ভালবাসি ও তোমার বিদ্যা বুদ্ধির যথেষ্ট প্রশংসা করি, কিন্তু যে সংসারে পাপ প্রবেশ করিয়াছে, তথায় দাসত্ব স্বীকার করিতে আর আমাকে অনুরোধ করিও না”। বিবি রোপর বহুবিধ শোক সূচক বাক্যে বারম্বার বিনতি ও পুনঃ পুনঃ নানাবিধ প্রতিবাদ দ্বারা তাঁহার মত খণ্ডন করিতে লাগিলেন, কিন্তু সকলই বৃথা হইল, কেননা তদীয় পিতার মত অপরিবর্ত্তনীয় ছিল, তিনি কোন রূপে আপন প্রতিজ্ঞা হইতে নিরস্ত হইলেন না।

 মাগ্রেট কি করেন, পিতার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা কোন ক্রমেই পরিবর্ত্তন হইবার নহে, ইহা বিলক্ষণ বুঝিতে পারিয়া অতিশয় বিষন্নমনা হইলেন। অতঃপর যে কয়েক দিন তাঁহার পিতা কারারুদ্ধ ছিলেন, যাহাতে তাঁহার মন কোন ক্রমে অসুখী না হয়, এই রূপ শান্তিজনক, পত্র দ্বারা প্রতিদিন তাঁহার সহিত নানা বিষয়ের আলাপ করিতে লাগিলেন।

 অনন্তর রাজবিচারে সার টমাস্‌ মুর অপরাধী সপ্রমাণ হইলে তাঁহার প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা হইল। তিনি কতিপয় সৈনিক পুরুষে বেষ্টিত হইয়া বধ্যভূমিতে অগ্রসর হইতেছেন, এমত সময়ে, উর্দ্ধশ্বাসে, মুক্তকেশে, ধাবিত হইয়া শোকে পাগলিনী প্রায় মাগ্রেট, পথিমধ্যে জনকের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন ও বলপূর্ব্বক রক্ষকদিগের মধ্যে প্রবেশ করতঃ এক কালে পিতার গলদেশ ধারণ করিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিলেন। মুর সাহেব কন্যার এরূপ পিতৃভক্তি নিরীক্ষণ করিয়া শোকার্ত্ত হইলেন বটে, কিন্তু ধৈর্য্যাবলম্বন পূর্ব্বক তাঁহাকে নানাবিধ সান্ত্বনা বাক্যে প্রবোধ দিতে লাগিলেন; পুনঃ পুনঃ আশীর্ব্বাদ করিয়া তাঁহার কোমল হস্ত হইতে আপনাকে মুক্ত করিলেন। দুই এক পদ অগ্রসর না হইতে হইতেই মাগ্রেট পুনর্ব্বার গিয়া পিতার গলদেশ ধরিলেনলেন, তখন তাঁহার নয়ন যুগল হইতে অজস্র অশ্রুবারি নির্গত হইতে লাগিল। মুখমণ্ডল পাণ্ডুবর্ণ ও শোকে বাক্‌শক্তি রহিতপ্রায় হইয়া বহুকষ্টে এক এক বার হা পিতঃ! হা পিতঃ! বলিয়া আর্ত্তনাদ করিতে লাগিলেন। দর্শকগণ অবলা কন্যার এরূপ অসামান্য পিতৃভক্তি দেখিয়া অত্যন্ত চমৎকৃত ও নিতান্ত বিষাদিত হইল, এমন কি, তৎকালে কঠিন হৃদয় রক্ষকেরাও শোকাকুল চিত্তে নয়ন জল ফেলিয়াছিল।

 পরক্ষণেই ঘাতকেরা মুর সাহেবের শিরচ্ছেদন করিল। পিতৃবৎসলা মার্গ্রেটের আর শোকের পরিসীমা রহিল না। তিনি একান্ত শোকবিহ্বল হইয়া হাহাকার শব্দে অনবরত রোদন করিতে লাগিলেন। বিনা দোষে মুর সাহেবের প্রাণ সংহার হওয়াতে সমস্ত ইয়ুরোপবাসি লোকেরা যৎপরোনাস্তি শোক প্রকাশ করিয়াছিল।

 মার্গ্রেট, অনেক কৌশলে পিতার মৃত দেহ সংগ্রহ ও সমাহিত করেন। কেবল রাজাজ্ঞায় তদীয় ছিন্ন মস্তক চতুর্দ্দশ দিবস “লণ্ডনব্রীজ” নামক টেমস্‌ নদীর কোন প্রকাশ্য সেতু সমক্ষে রক্ষিত হয়। পরে নির্দ্দয় সম্রাট্‌ ঐ মুণ্ড নদীজলে ভাসাইতে আদেশ করিলে, বিবি রোপর বহুকষ্টে সেই মস্তক রক্ষকদিগের নিকট হইতে ক্রয় করেন। সম্রাট্‌, মার্গেট কর্ত্তৃক অপরাধির মস্তক ক্রয়ের সংবাদ পাইয়া তৎক্ষণাৎ তাঁহাকে রাজসভায় আনয়ন করিলেন। সুচতুরা মার্গ্রেট অপরিসীম সাহস সহকারে আপন কার্য্যের নির্দ্দোষিতা সপ্রমাণ করিয়াও নির্দ্দয় সম্রাটের হস্ত হইতে আপনাকে মুক্ত করিতে পারিলেন না। বরং সম্রাট্‌ তাঁহার বাদানুবাদে অধিকতর ক্রদ্ধ হইয়া তাঁহাকে কারারুদ্ধ করিলেন। পরন্তু বিবি রোপর অল্পকাল পরেই কারামুক্ত হন।

 তিনি পিতার মৃত্যুর পর নয় বৎসরমাত্র জীবিত ছিলেন। ইতিমধ্যে নিয়ত সাংসারিক কার্য্যে ব্যাপৃত ও সন্তান সন্ততির শিক্ষায় নিযুক্ত থাকিয়া, ১৫৪৪ খৃষ্টাব্দে কলেবর পরিত্যাগ করেন। রোপর সাহেব আপন পত্নীর অসামান্য গুণগ্রাম ও অকৃত্রিম প্রণয়ের এরূপ অনুরাগী ছিলেন, যে দীর্ঘকাল জীবন সত্ত্বেও দারান্তর পরিগ্রহ করেন নাই।

 মার্গ্রেট রোপর এক জন ক্ষমতাশালী ধনীলাকের কন্যা সুতরাং নানাবিধ ভোগবিলাসে কালযাপন করা তাঁহার পক্ষে অধিক সম্ভব হইতে পারে, কিন্তু তিনি সে রূপ স্ত্রীলোক ছিলেন না। শৈশব কালাবধি অপরিসীম পরিশ্রম ও দৃঢ় অধ্যবসায় সহকারে প্রচুর বিদ্যা উপার্জ্জন করিয়াছিলেন। যত্ন ও অধ্যবসায় সকল প্রকার সৌভাগ্যের মূল; দেখ বিচক্ষণ পুরুষেরা যে সকল কার্য্য সম্পাদন করিতে সক্ষম হয়েন না, তিনি যত্ন ও অধ্যবসায়ের গুণে সেই সমুদায় সুসম্পন্ন করিয়া গিয়াছেন। তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া বিবিধ বিদ্যা ও বহু প্রকার ভাষা শিক্ষা করিয়া পণ্ডিত সমাজে প্রতিষ্ঠা ভাজন হন। তাঁহার পিতা এক জন সদ্বিদ্বান্ লোক ছিলেন, বিশেষতঃ লাটিন ভাষায় কেহই তাঁহার তুল্য পারদর্শিতা লাভ করিতে পারেন নাই। মার্গ্রেট লাটিন রচনাতে তাঁহাকেও পরাভূত করিয়াছিলেন। তিনি এরূপ জ্ঞানলাভ করিয়াও আপনাকে যৎসামান্য বিবেচনা করিতেন। পিতা মাতার প্রতি তাঁহার ভক্তি ও প্রেম অতিশয় প্রবল ছিল, তাহা পূর্ব্বোক্ত ঘটনাতেই বিলক্ষণ প্রকাশিত আছে। যাহা হউক যে কোন কঠিন কার্য্য হউক না কেন, পরিশ্রম ও যত্ন করিলে অবশ্যই তাহা সিদ্ধ হয়।