পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(॥0• ) ধর্মের পুনরুখান বলা যায়॥ রাজা। রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের নেতৃত্বে সংস্কৃতবিৎ পণ্ডিতমওলীর সাহায্যে, রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে শক্তি জাগ্রত হইল্মাছিল, সেই শক্তি বাদালা সাহিত্যের সাধন- ক্ষেত্রেও আত্ম প্রকাশ করিয়াছে। এই তৃতীয় ধারার নেতৃগণ, পূর্ববর্তী যুগের ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পণ্ডিতী বাঙ্গালার উত্তরাধিকারী হইলেও, তাহাদের প্রকৃতি অল্প দিনের মধ্যেই পরিবর্তিত হইয়া যায়। এই পরিবর্তনের কারণও রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলন ও জন-সাধারণের জাগরণ। আমরা সাহিত্যের রচনারীতির এই ত্রি-ধারার আলোচনায়, সর্বপ্রথম। অক্ষয়কুমার দত্ত, তাহার পর প্যারীচাদ মিত্র ( টেক৮াদ ঠাকুর ) এবং তাহার পর সমসাময়িক। পণ্ডিতীআন্দোলনের আলোচনা করিব। এই স্থানে একটি কথা' মনে রাখিতে হইবে-এই তিনটি ধারা যে প্রথম হইতেই, জুলারূপে পৃথক পৃথক পথে প্রবাহিত হইয়াছে, তাহা নহে। ইতাদের মধ্যে ক্রমাগত অল্পাধিক পরিমাণে বিচিত্র প্রকারের মিলন ও বিচ্ছেদ ঘটিয়াছে। এই তিনটি ধারা অবত্য পরিণামে এক পুণ্য-প্রয়াগে সম্মিলিত হইবে। কিন্তু এই মিলনের পথে, নানারূপ ঘাত-প্রতিঘাত ও আলোচনা-আন্দোলন স্বাভাবিক; এবং যাহা স্বাভাবিক, তাহাই ঘটিয়াছে। ( ৩ ) সাহিত্য রাজ্যে অক্ষয়কুমার দত্তের প্রকৃত স্থান কোথায়, তাহা নিস্ফারণ করিতে হইলে, ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাসের দুই একটি কথা জানা আাবস্তক। রাজা রামমোহন রাঞ্জ একটি বৃহৎ। তিনি কি, তাহা সম্পূর্ণ রূপে ও সঠিক ভাবে বুঝিয়া উঠা বড়ই কঠিন। বহু বছ মনীষী র্তাহার সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন এবং প্রত্যেকেই নূতন কথা বলিয়াছেন। সাধারণ। মানুষ হইতে যাহারা খুব বেশী উপরের লোক, তাহাদের সম্বন্ধে এই