পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান অনায়াসে নানা শাস্ত্র শিখিয়াছিল, কিন্তু সে এই পাঠ শুনিবার সময়েও তাহার স্বভাবসিদ্ধ জপ ত্যাগ করে নাই। আর একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করিতাম যে, পাঠ-শ্রবণকালে সে একমনে উহা শুনিত, কোন বিষয়ে তর্কবিতর্ক করিত না, স্থিরমনে পাঠ শুনিত ও জপ করিত। যেমন নিশ্বাস প্রশ্বাস ছাড়া মানুষ থাকিতে পারে না, রাখালও তেমন জপ ছাড়া থাকিতে পারিত না । সঙ্গীতানুরাগ বরানগর মঠে যুবা রাখাল অবসর মত, সামান্য ভাবে অর্থাৎ কাজ চালান মত, একটু বাঁয়া তবলা বাজাইতে | শিখিয়াছিল। সঙ্গীতের প্রতি তাহার যে একটা ভালবাসা ছিল ইহাই তাহার নিদর্শন। সে নিজে কখনও গান করে নাই, কিন্তু সে ভজন-গান অতি আগ্রহের সহিত শুনিত। বরানগর মঠে রাখালের পিতা গরমীকাল, দিনটা রবিবার। একদিন রাখালের পিতা হারাণচন্দ্র ঘােষ মহাশয় বরানগর মঠে আসিয়াছিলেন এবং তিনি গঙ্গাস্নান করিয়া সেখানে প্রসাদ পাইয়াছিলেন। তিনি বৈভবশালী ব্যক্তি ও রাখালের পিতা, এইজন্য তাহাকে একটু দুধ দেওয়া হইয়াছিল এবং তরকারির মধ্যে অল্প পরিমাণ আলুর দম দেওয়া হইয়াছিল। গুপ্ত (সদানন্দ ) ও আমি