পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९P অধিকার-তত্ত্ব । মুক্তি না হইলে ভগবানের মহান ভাবের জ্ঞান লাভ ও প্রকৃত ভক্তিযোগে উপাসনা হইতে পারে না । ৪ । সকল আত্মার সাধারণ ভাবগতিক এক প্রকার হইলেও প্রত্যেক অস্মিার এক এক বিশেষ ভাব আছে । সেই কারণে প্রত্যেক আত্মাই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র রূপে স্বাধীন । যেমন এক এক ব্যক্তির মুখশ্রী, কথার স্বর এবং হস্তের লেখা এক এক প্রকার ; তেমনি এক এক ব্যক্তির আত্মার ভাব, মনের প্রকৃতি এবং জীবনের আদর্শ এক এক প্রকার ; এই আশ্চর্ষ্য বিচিত্রভা চিরকালই থাকিবে । ৫ । কোন ব্যক্তিতে যখন ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকার সবল হয়, তখন র্তাহার আত্মার আধ্যাত্মিক গঠন অনুসারেই তাহা হইয়া থাকে। মাতৃ-গর্ভ হইতে শিশু যে প্রকার দেহ, পঞ্জর, হস্তপদাদির অবয়ব ও মুখশ্রী লইয়া ভূমিষ্ঠ হয়, পশ্চাতের পরিণতি ও উন্নতি সকল ভtহারই উপরি পুষ্টি-সাধন করে ; তাহতে শরীর যতই পুষ্ট হউক, সেই আদিম-ঠাম ও ভঙ্গীর বিশেষত কিছুতেই বিলুপ্ত হয় না । সেই প্রকার মানব সেই শরীরের সঙ্গে সঙ্গে যে আত্মাকে লইয়া ভূমিষ্ঠ হয়, অন্যান্য ব্যক্তির আত্মার তুলনায় তাহার এক প্রকার বিশেষ অধ্যাত্মিক ভঙ্গী ও বিশেষ মানসিক ধাতু থাকে । তাহার পর যত আধ্যাত্মিক ও মানসিক উন্নভি হয়, সে সকলই ঐ বিশেষ ভঙ্গী ও মানসিক-ধাতুকে পুষ্ট করিয়া যায়, কিন্তু কোন উন্নতিই সেই মূল ছাচকে লুপ্ত করিতে পারে না । যে প্রকার উন্নতি ও পুষ্টি ঐ মূল ধাতুর যোগ্য ও সহনীয় নহে, ভাহা সহজ উপায় দ্বারাও