পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిసెly অধ্যাপক কাছে সে শুনেছিল যে কানাই আর কাউকে ভালবাসে, কিন্তু যে কোন কারণেই হোকৃ, তাকে নিয়ে বিবাহিত জীবনের ঘরকন্ন করতে• তার মন নারাজ—সে মুক্ত বিহঙ্গম । হৃদয়ের আর একটি প্রাস্ত থেকে যে আর একটি রসধারা স্বচ্ছলভাবে প্রবাহিত হয়ে শ্রদ্ধাকে তার মধুময় করে তুলছিল সে ধারার গতি যেন একটা বাধায় হ’ল প্রতিহত । কানাইয়ের দৃষ্টাস্তে মুজাতা লেগে গেল অধ্যাপকের সঙ্গে কাজ করতে, অথচ এ সমস্ত যে তার মনের জ্ঞাতসারে ঘটেছে তা বলা যায় না । অফুটভাবে অবচেতনার প্রেরণে মানুষ একটা কাজ থেকে আর একটা কাজে লিপ্ত হয়, ঠিক কারণের হদিস পায় না । আজ অধ্যাপকের কাছে এসে সে কানাইয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্র কাজ করছে। প্রথম প্রথম যখন দেখা হয়েছে, সে তার হৃদয়ের গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তার উদ্ধারকর্তার প্রতি, কিন্তু কানাই ত৷ গায়ে মাখে নি । সে এমন ভাব দেখিয়েছে যেন সে কিছুই করে’ নি, সে যেন সে কাজ যে-কোনও লোকের জন্যই করত । এর পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বাড়াবাড়ি আর চলে না । ব্যক্তিগতভাবে অম্বুরাগের ক্ষেত্র গেছে সঙ্কুচিত হয়ে কিন্তু শ্রদ্ধার পরিমাণ গেছে বেড়ে । যে ব্যক্তি কাউকে ভালবাসে বলে’ ৷ ব্যক্তিগতভাবে সেই প্রেমাম্পদের জন্য কোনও লাঞ্ছনা বা ত্যাগ স্বীকার করে সে মহৎ সন্দেহ নেই, কিন্তু যে কেবলমাত্র দুর্ব্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার দেখে, নারীর প্রতি পুরুষের অসন্মান দেখে সেজন্য ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করতে পারে, সে কত মহৎ ! যখন স্বজাত অনুভব করল যে কানাইয়ের মধ্যে সে এমন কোনও পরিচয় পাচ্ছে না যে সে ব্যক্তিগতভাবে তার প্রতি জাকুষ্ট, তখন তার সঙ্কোচ এল ক্ষীণ হয়ে । আজ যখন সে অধ্যাপকের কাজ নিয়ে কানাইয়ের নিকট উপস্থিত হ’ল তখন সে যেন ফিরে