বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাইক্লোন এ টা জানি ত খ ন— দিন আছে, রাত আছে, আর তারা দু’জনে একসঙ্গে আসে না আমাদের তিনতলায় ৷ এও জেনেছি, বাতাস একজন ঠাণ্ড, একজন গরম ; কিন্তু তাদের দু'জনের কারো একটা করে ছাত নেই গোলপাতার। রোদে পোড়ে, বিষ্টিতে ভেজে ওদের গা । এও জেনে নিয়েছি যে একটা একটা সময় অনেকজন রোদ বাইরে থেকে ঘরে এসেই জানালাগুলোর কাছে একটা একটা মাদুর বিছিয়ে রোদ পোহাতে বসে যায়। কোনোদিন বা রোদ একজন হঠাৎ আসে খোলা জানলা দিয়ে সক্কালেই। তক্তপোশের কোণে বসে থাকে সে, মানুষ বিছান ছেড়ে গেলেই তাড়াতাড়ি রোদটা গড়িয়ে নেয় বালিশে তোশকে চাদরে আমার খাটেই। তার পর চট্‌ করে রোদ ধরা পড়ার ভয়ে বিছানা ছেড়ে দেওয়াল বেয়ে উঠে পড়ে কড়িকাঠে। ছাতের কাছেই আলসের কোণে দুটে । নীল পায়রা থাকে জানি, আলো হলেই তার দু’জনে পড়া মুখস্থ কড়ে আঙুল বলে খাব ; আংটির আঙুল বলে কোথায় পাব ; মাঝের আঙুল বলে ধার করো-গে ; আর একটা আঙুল তার নাম যে তর্জনী, তা জানি নে, কিন্তু সে বলে জানি, শুধব বিসে, বুড়ো ভাঙল বলে লবডঙ্কা। কী সেট, দেখতে লঙ্কার মতো আর খেতে ঝাল না মিষ্টি তা জানি নে, কিন্তু খুব টেচিয়ে কথাটা বলে মজা পাই । বন্ধ খড়খড়ির একটু ফাক পেয়ে জানি রাত আসে, এক-একদিন শাদ। প্রজাপতির মতে এক ফোটা আলে, মাথার বালিশে ডান বন্ধ করে ঘুমোয় সে, হাত চাপ দিলে হাতের তলা থেকে হাতের উপরে-উপরে চলাচলি করে। এমন চটুল এমন ছোটো যে, বাকি শ চাপ দিলেও ধরে রাখা যায় না ; বালিশের উপরে চট করে উঠে আসে। চিৎ হয়ে তার উপর শুয়ে পড়ি তো দেখি পিঠ ফুড়ে এসে বসেছে আমারই নাকের ডগায়, উপুড় হয়ে চেপে পড়লেই মুশকিল বাধে তার— ধরা পড়ে যায় একেবারে, ওইট নিশ্চয় করে জেনেছি তঞ্চন। পড়তে শেখার আগেই, দেখতে শুনতে চলতে বলতে শেখারও আগে, br