পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতির পরশ শান্তিনিকেতন, আর শাস্তিধাম— এক বীরভূইয়ে, আর-এক রাচিতে। এই দুটি জায়গা গুটিকতক দিনের সঙ্গে আমার মনে জড়িয়ে আছে। পর্বত-শিখরে একগাছি মালতী মালার মতো জড়ানো শাস্তিধাম, আর উদয়াস্ত দিক্‌-চক্রবাল স্পর্শ করে শান্তিনিকেতনের অবাধ উদার প্রান্তর— এ একভাবে মনকে টানে, ও একভাবে মনকে টানে। ঘর এবং বাহির এই দুয়ের সম্পর্ক নিয়ে দুটি জায়গা মধুর হয়েছে আমার কাছে। শান্তিধ্যমে ঘরের একটি মানুষের হাসিমুখ দুঃখ ভুলিয়ে দিলে, শাস্তিনিকেতনে ঘর-বাহির দুয়ের স্পর্শে এক হয়ে প্রাণে লাগল ; শাস্তিধাম’— তার একটি মানুষ, একটি হরিণ, একটি ময়ুর নিয়ে বিচিত্র হল আমার কাছে, আর শাস্তিনিকেতন তার অনেক মানুষ অনেক কর্ম অনেক বিচিত্রতা নিয়ে একটি ঘরের মতো ঘিরে ধরল আমাকে । দুটি জায়গা স্বতন্ত্র হলেও শান্তির মধ্যে দু জায়গাতেই ডুব দিয়ে বিরল মন । - শাস্তিধামে গিয়ে দেখলেম, আমার পিতৃব্য ( জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ) আমি যা ভালোবাসি তাই নিয়ে বসে আছেন— পাহাড়, পাহাড়ের উপর মন্দির, সেখানে হরিণ রয়েছে পর্বতের একটি গুহ রয়েছে– যেখানে চুপটি করে সারাদিন বসে থাকি, ঘব রয়েছে পাহাড়ের উপরে, সেখানে ছবি আছে গান আছে, ঘরের ধারে বাধানে গাছতলা আছে । ঘরে রয়েছেন র্যাকে ভালোবাসি র্যাদের ভালোবাসি সেই-সব আপনার লোক ! চাকর-বাকর কর্তাবাবুর এতটুকু ভাই-পে বলেই আমাকে দেখে, অচেনা একজন বয়স্থ বাবু বলে মনেই করে না। আমাকে সঙ্গে নিয়ে তার কর্তাবাবুর পোষা হরিণ দেখায়। পাখি দেখায়, নদী দেখায়ু, মাঠ দেখায়, ফলের গাছ দেখায়, ফুলের তোড়া বানিয়ে দেয়। তাদের দেখে বোধ হয়, তাদের চোখের দৃষ্টিতে আমার বয়সের অনেকখানি আমার ছেড়ে পালায়, মনে হয় আমি যেন ছোটো ছেলে, কোনো-একটা স্কুলের ছুটিতে ঘরে ফিরেছি। দুষ্ট ছেলে পাছে পাহাড়ে দৌড়ে উঠতে পড়ে যাই, দুই বেলা কাকামশায় সাবধান করেন ; আস্তে উঠে৷ পাহাড়ে । ছবি আঁকা শেখ হচ্ছে কেমন । কাজকর্ম פץףS\