ব্ল্যাক-আর্টের দ্বারা জাদুকরেরা শূন্য থেকে হাতি বা জিপ-কার সৃষ্টি করেন। জাদুকরদের এই সৃষ্টির মধ্যে থাকে কৌশল। সাধু-বাবাজিদের সৃষ্টির মধ্যে এই ধরনের কোনও কৌশল থাকলে চলবে না। কোনও বাবাজি যদি শূন্য থেকে এই ধরনের বড়-সড় মানের কোন কিছু সত্যিই সৃষ্টি করতে পারেন, তবে নিশ্চয়ই প্রমাণিত হবে অলৌকিক বলে কিছু আছে, এবং তাবৎ বিশ্বের যুক্তিবাদীরাও আর এইসব নিয়ে কচ্কচানির মধ্যে না গিয়ে অলৌকিক বলে কিছুর বাস্তব অস্তিত্ব আছে বলে স্বীকার করে নেবে।
কৃষ্ণ অবতার কিট্টি
সত্তরের দশকের গোড়ায় কর্নাটকের পাণ্ডবপুরে কৃষ্ণের অবতার হিসেবে উপস্থিত হয় বালক কিট্টি। বালকটির মা-বাবা ছাড়া সাঁইবাবাও ঘোষণা করেন, ও ভগবান সাঁই ও ভগবান কৃষ্ণের অবতার সাঁইকৃষ্ণ। ভক্তের ভিড়েরও অভাব হল না। শোনা গেল সাঁই-ভজনের সময় সাঁইকৃষ্ণ শূন্য থেকে পবিত্র সুগন্ধি ছাই তৈরি করে বিলি ভক্তদের মধ্যে। শূন্য থেকে কখনও কখনও সাঁইবাবার ছোট্ট ছবিও তৈরি করে ভক্তদের মধ্যে বিলি করে। ভক্তদের মধ্যে ডাক্তার বা ডক্টরেটেরও অভাব হল না। ব্যাঙ্গালোরের ডঃ জি, ভেঙ্কটরাও আবির্ভূত হলেন এই ধরনের এক ভক্ত প্রচারকারী হিসেবে।
সাঁইকৃষ্ণের ঈশ্বর-ব্যবসা যখন জমজমাট, সেই সময় ১৯৭৬ সালে ১৫ জুলাই ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ এইচ নরসিমাইয়ার নেতৃত্বে এক অনুসন্ধানকারী দল হঠাৎই হাজির হন সাঁইকৃষ্ণের বাড়িতে। এই দলে ছিলেন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, জাদুকর, আইনব্যবসায়ী প্রমুখ। দিনটি ছিল সাঁইকৃষ্ণের ভজনার বিশেষ দিন। এই দিনটিতে ভক্তদের সাঁইকৃষ্ণ পবিত্র বিভূতি বিলি করেন। যুক্তিবাদী এই দল ভক্তদের সামনেই সাঁইকৃষ্ণের পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে রাখা সুগন্ধি ছাই বের করে দেন। সাঁইকৃষ্ণের এই বুজরুকি ধরা পড়ে যাওয়ার ওর জমজমাট ঈশ্বর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতের অতীত ও বর্তমানে গাদাগাদা অবতারদের সম্বন্ধে শোনা যায় যে, তাঁরা নাকি একই সঙ্গে একাধিক স্থানে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শুধু রামঠাকুর বা শ্যামাপদ লাহিড়ীই নন এ যুগের অনেকের সম্বন্ধেই এই ধরনের কথা শুনেছি। আদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদাঠাকুরের শ্যালক পরেশ চক্রবর্তীর তান্ত্রিক হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি ছিল। তিনি নিজেই আমাকে বলেছেন, একবার তাঁর এক ভক্তের জীবনের অন্তিম লগ্নে উপস্থিত থাকার জন্য ট্যাক্সিতে যাচ্ছিলেন। ট্যাক্সিতে সঙ্গী ছিলেন অসুস্থ ভক্তেরই আত্মীয়। কলকাতার বিখ্যাত যানজটে তাঁর ট্যাক্সি যায় আটকে। পরেশ