পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७७२ অসাধারণ লোক পাঠিয়ে শিবশঙ্কর জেনেচেন মৌজার আদায় ভালো, একাত্তরটি জমার মধ্যে উনিশটি খাস হয়ে গিয়েচে এবং আশা আছে আরও আটটি জমা এই বছরের মধ্যেই খাস হবে। বাকী খাজনা পড়ে আছে প্রজাদের কাছে কয়েক छ्ख्द्र दिक् । হাজারীবাগ জেলায় সিংজানি-ভোজুড়ি অভ্রের খনি ও শালবন, বাংলো, ইদারা এবং কিছু ধানের জমি। উন্টোডিঙির খাল ধার থেকে সামান্য দূরে ৬/মহেশচন্দ্র সিমলাইয়ের বাগানবাড়ী ও পুকুর, বাগানে জমির পরিমাণ দশ বিঘে । কলমের আম, লিচু, ফলস ম্যাঙ্গোস্টিন প্রভৃতি ফলের গাছ। দোতলা বাড়ী । অভ্রের খনির ওপর ঝোক বেশী শিবশঙ্করের । দু’ পার্সেণ্টের অনেক বেশী আসবে টাকার ওপর । স্বাস্থ্যকর স্থান, মাঝে মাঝে গিয়ে থাকাও যাবে, কলকাতায় তো যা খান হজম হয় না, লিভারের রোগে কষ্ট পাচ্ছেন । আর বাকী সব পাড়া গেয়ে জমিজমা, ধানক্ষেত-নাঃ ওদের কি মূল্য আছে ? জমি কিনতে গেলে কলকাতায় । কলকাতার সম্পত্তির মত সম্পত্তি নেইবাড়ী বা জমি। মহেশ সিমলাইয়ের বাগানবাড়ী ভালো, ফািলবান গাছ অনেকগুলো, নার্সারি করবার জন্যে কেউ ভাড়া নিতে পারে, অনেকখানি জমি-মূল্যবান সম্পত্তি হয়ে উঠতে পারে দু’চার বছর পরে। দালালে বলচে আটষটি হাজার, তিনি বলচেনি পঞ্চাশ হাজার। যদি ওটা হয়, তবে খুবই ভালো । শিবশঙ্কর ফোঁপে উঠলেন তো সেদিন । ক’বছরের কথা আর ? কি ছিল শিবশঙ্করের ? বারাসাতের কাছে ভবনহাটি বিষ্ণুপুর, ক্ষুদ্র গ্রাম, সেখানেই পৈতৃক বাড়ী । অবিহিত নিতান্ত গরীব ছিলেন না, সেকেলে বড় গৃহস্থ, তবে ইদানীং নামেই ছিল তালপুকুর, ঘটি ডুবতে না । নিজের বুদ্ধিতে শিবশঙ্কর সব করেচেন। বীরের মত করেচেন, বীরের মতই