পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র এক সভায় আহবান করলেন। সেই সভায় এক কমিটী গঠিত হল, যার হাতে বন্যায় সাহায্য করবার ভার দেওয়া হল। এই কমিটী-যা বেঙ্গল রিলিফ কমিটী নামে পরিচিত। --তৎক্ষণাৎ কাজে অগ্রসর হলেন । আচার্য্যকে কাজে নামতে দেখে তার প্রিয় ছাত্রসমাজও তাকে মনপ্রাণ দিয়ে সাহায্য করতে এল, আর জনসাধারণও তার কাজে সহানুভূতি দেখাতে লাগল। সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ যুবকদল এই কাজে আত্মসমর্পণ করলেন। যুবকগণ পথে পথে জনসাধারণের কাছ থেকে চান্দা ভিক্ষায় বাহির হলেন। কলিকাতায় ও মফঃস্বলের বড় বড় সহরে যুবকেরা চান্দা সংগ্রহে ব্যস্ত হলেন। বাংলাদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা তাদের সাধ্যানুসারে চাঁদা দিতে লাগলেন, এমন কি পথের কুলি মজুরও নিজেদের রোজ পাওনা থেকে সাহায্য করতে লাগল। টাকা ছাড়া বন্যপীড়িত লোকদের জন্য জাম-কাপড়ের দরকার। তাই গাড়ী গাড়ী জাম-কাপড় বোঝাই হয়ে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্রের বিজ্ঞান-মন্দিরে উপস্থিত হতে লাগল। সেখানে আচার্য স্বয়ং তঁর প্রিয় শিষ্যদের নিয়ে সব কাজের তত্ত্বাবধান করতেন। একদল যুবক কেবল টাকা পয়সার হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, টাকা ও পয়সা গুণতেই তঁদের সময় থাকত না, অন্যদল জামা See