হইবে। ফয়ার দিদিমার কিছু ধান লুকানো আছে; তাহাতেই চলিয়া যাইতেছে।
বাহিরের জগৎ সম্বন্ধে কোন খবর পাইবার উপায় নাই। ঠিক করিলাম, একবার রেঙ্গুন ঘুরিয়া আসিব। ফয়া কিছুতেই যাইতে দিবে না। আমার যাইবার কথা শুনিয়া অবধি কাঁদিতেছে। তাহাকে বুঝাইলাম— এখনতো এখানে যুদ্ধ হইতেছে না, সুতরাং বিপদের ভয় আর নাই।
৩রা মে ১৯৪২:
আজ সকালে রেঙ্গুন যাত্রা করিব। সবে রাত্রি শেষ হইয়া আসিয়াছে; অস্পষ্ট আলোকের ঢেউ আসিয়া রাত্রির অন্ধকারকে হাল্কা করিয়া আনিয়াছে। এমন সময় ঘরে কে আসিল?—ফয়া!—ফয়াই তো!
ফয়া ঘরের মধ্যে আসিয়া আমার বুকের উপর মাথা রাখিয়া কাঁদিতে লাগিল। বলিল—‘বল, তুমি ফিরিয়া আসিবে।’
অং-ফয়া আমায় ভালবাসিয়াছে। তাহার এ ভালবাসার মর্য্যাদা দিবার ক্ষমতা আমার কোথায়? তাহাকে বলিলাম—‘আবার ফিরিব।’ তাহার চোখের জল মুছাইয়া দিলাম।
৪ঠা মে ১৯৪২: রেঙ্গুন
রেঙ্গুনে আমার বাসায় ফিরিয়াছি। শহরে লোক খুবই কম। রেঙ্গুনের সে সৌন্দর্য্য আর নাই।
একদল জাপানী সিপাহী মার্চ্ করিয়া চলিতেছে। মাথার উপর কয়েকখানি এরোপ্লেন্ উড়িয়া গেল।
পথে ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা।