পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২১৯

সেপ্টেম্বর মাস হইতে ১৯৪৫ সালের মে মাসের মধ্যে প্রথমে সিঙ্গাপুর ও মালয়ের অন্যান্য স্থানে, রেঙ্গুনে ও ব্রহ্মদেশের অন্যান্য স্থানে তিনি সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাইয়াছিলেন এবং ১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি রেঙ্গুনে যোগ সিং নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাইয়াছিলেন।

 উক্ত বিচারে আদালতের অধিকার সংক্রান্ত আলোচনায় শ্রীযুক্ত দেশাই বলেন যে, সামরিক আইনের কথা বাদ দিলেও বৃটিশ ভারতের বাহিরে অনুষ্ঠিত কোন অপরাধের জন্য যে ব্যক্তি বৃটিশ ভারতের প্রজা নহেন, তাঁহার বিচার করিবার ক্ষমতা কোন বৃটিশ ভারতীয় আদালতের নাই; ১৮৬১ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইনের দ্বিতীয় প্যারা পাঠ করিলে দেখা যাইবে যে, ভারতীয় সামরিক ৪১ ধারায় সামরিক আইনের আদালতকে বৃটিশ ভারতের বাহিরে অনুষ্ঠিত অপরাধের জন্য বৃটিশ ভারতের প্রজা নহেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে বিচার করিবার যে ক্ষমতা অর্পণ করা হইয়াছে তাহা বিধি বহির্ভূত।

 অতঃপর শ্রীযুক্ত দেশাই বলেন, কোন দেশীয় রাজ্যের অধিবাসীকে সম্রাটের ভারতীয় প্রজা বলিয়া গণ্য করা যায় না। এ সম্পর্কে তিনি নজীর হিসাবে বোম্বাই হাইকোর্টের একটি মামলায় উল্লেখ করেন। শ্রীযুক্ত দেশাই তাঁহার বক্তব্যের সমর্থনে লাহোর হাইকোর্টের একটি মামলারও উল্লেখ করিয়া বলেন যে, দিল্লীর কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের যে ক্ষমতা আছে তদপেক্ষা বেশী ক্ষমতা এই আদালতের নাই।

 ৫ই ডিসেম্বর বেলা আড়াই ঘটিকার সময়ে আদালতের বৈঠক বসিলে জজ-এড্‌ভভোকেট মেজর রিউজ মামলা উত্থাপনকারী অফিসার কম্যাণ্ডাণ্ট ব্রিগেডিয়ার থেটিসের অভিমত পাঠ করিয়া বলেন যে, ভারতীয় সামরিক আইন অনুযায়ী আসামী ভারতের অধিবাসী এবং বৃটিশ ভারতের বাহিরে অসামরিক অপরাধের জন্য ভারতীয় সামরিক আইনে গঠিত সামরিক আদালতে তাহার বিচার হইতে পারে।