পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 ৬ই ডিসেম্বর সামরিক আদালত অভিমত প্রকাশ করেন যে, বন্দী পক্ষের কৌঁসুলী যে আপত্তি তুলিয়াছেন তাহা অবৈধ এবং এই আদালতেই ক্যাঃ বুরহানুদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানী হইবার পক্ষে আইনগত কোন বাধা নাই।

 অতঃপর শুনানী আরম্ভ হইলে ক্যাঃ বুরহানুদ্দিন তাঁহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলি অস্বীকার করেন। অতঃপর আসামীর পক্ষ হইতে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি মিঃ মহম্মদ মুনীরের এজলাসে হেবিয়াস কার্পাসের আবেদন করা হয়। উক্ত আবেদন সম্পর্কে কোনও রায় না দেওয়া পর্য্যন্ত মামলা কেন স্থগিত রাখা হইবে না, ২রা জানুয়ারী প্রেসিডেণ্টকে তাহার কারণ দর্শাইতে বলিয়া বিচারপতি এক নোটিশ জারী করেন।

 ইহার পর লাহোর হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চের সম্মুখে ভারতের জাতীয় বাহিনীর ক্যাপ্টেন মিঃ বুরহানুদ্দিনের হেবিয়াস কর্পাস আবেদন সম্পর্কে সওয়াল আরম্ভ হয়, পরিশেষে আদালত কর্ত্তৃক উক্ত আবেদন অগ্রাহ্য হয়।

 ক্যাপ্টেন বুরহানুদ্দিনের বিচারের জন্য যে সামরিক আদালত গঠিত হয় তাহাতে ক্যাঃ বুরহানুদ্দিন তাঁহার জবানবন্দীতে আনিত অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করিয়া বলেন যে, দেশ ও রাজার মধ্যে যদি কোনটি বাছিয়া লইতে তবে তিনি দেশের প্রতি আনুগত্যকেই বাছিয়া লইবেন।

 সামরিক আদালত তাঁহাকে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরে দণ্ডিত করিয়া ক্ষমা প্রদর্শনের সুপারিশ সহ অনুমোদনকারী কর্ত্তৃপক্ষের নিকট আদালতের রায় প্রেরণ করেন।

 সামরিক আদালত ক্যাঃ বুরহানুদ্দিনকে হত্যাপরাধের অভিযোগ হইতে মুক্তি দিয়া সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিবার এবং স্বেচ্ছাকৃত ভাবে মারাত্মক