পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২২১

আঘাত করিবার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। জঙ্গীলাট এই সম্পর্কে আদালতের রায় অনুমোদন করেন।

 ভারতের প্রধান সেনাপতি যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের দণ্ড মকুব করিয়া ক্যাপ্টেন বুরহানুদ্দিনকে সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। তাঁহার সমস্ত প্রাপ্য বেতনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। বিচারের রায় প্রদানের পরে ক্যাপ্টেন বুরহানুদ্দিনকে দিল্লী ক্যাণ্টনমেণ্টের কাবুল লাইন হইতে একখানি বিমান যোগে অজ্ঞাত স্থানে প্রেরণ করা হয়।

সুবেদার সিঙ্গাড়া সিং এবং জমাদার

ফতে খাঁর বিচার

 তৃতীয় সামরিক আদালতে আজাদ-হিন্দ-ফৌজের কর্ম্মচারী এবং প্রাক্তন ৫।১৪শ পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের সুবেদার সিঙ্গাডা সিং এবং জমাদার ফতে খাঁ অভিযুক্ত হন।

 এই বিচার সম্পর্কে অন্তবর্ত্তী কালের জন্য ইনজাংশন জারি করার আবেদন করা হইলে ১৯৪৩ সালের ৩রা জানুয়ারী তাহার শুনানী না হওয়া পর্য্যন্ত দিল্লীর সাব জজ বিচার স্থগিত রাখিবার জন্য নির্দ্দেশ দেন। আবেদনকারীর পক্ষ হইতে শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই অপরাপর যুক্তিসহ এই যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, অপরাধ অনুষ্ঠিত হওয়ার তিন বৎসরের মধ্যে সামরিক আদালত কর্ত্তৃক অপরাধীর বিচারে যে অধিকার রহিয়াছে, অর্ডিনান্স বলে উক্ত সীমা বাতিল করিয়া দেওয়া বে-আইনী। তিন অথবা চার ব্যক্তির বিচারের জন্য উক্ত জরুরী ব্যবস্থা অবলম্বিত হইয়াছে। কিন্তু ভারতীয় সৈন্য আইনের আওতায় যাহারা পড়ে তাহাদের সম্পর্কে অর্ডিনান্স জারী করার ক্ষমতা বড়লাটের নাই। ভারত শাসন আইনের ৭২ ধারা অনুযায়ী ভারত সরকারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ অবলম্বনের জন্য অর্ডিনান্স জারী করিতে পারেন।