পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 আসামী পক্ষের কৌঁসুলী ডাঃ কাটজু এই যুক্তির অবতারণা করেন যে, গভর্ণমেণ্ট এবং রংরুটের মধ্যে একটা চুক্তি হয় যে, রংরুটে কোন অপরাধ অনুষ্ঠিত হইবার পর তিন বৎসর কাল অতিবাহিত হইলে অন্ততঃ সামরিক আদালতে তাহার কোন বিচার হইবে না। সুতরাং এই আদালতের এই মামলার বিচার করিবার অধিকার নাই। ডাঃ কাটজু আরও বলেন যে, সামরিক আইনের ৬৭ ধারা অনুসারে—আসামীদের বিচার চলিতে পারে না বলিয়াই অর্ডিনান্স জারী করা হইয়াছে। অর্ডিনান্স জারী করিবার মত জরুরী অবস্থার উদ্ভব হইয়াছিল কি না সে সম্বন্ধে আলোচনা করিবার অধিকার আদালতের রহিয়াছে। ডাঃ কাটজু এই প্রসঙ্গে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি মিঃ ভাইডের অভিমত উদ্ধৃত করেন।

 সরকার পক্ষীয় কৌঁসুলী কর্ত্তৃক উত্থাপিত যুক্তির উত্তরদান প্রসঙ্গে ডাঃ কাটজু বলেন, “এই মামলার বিচার ভারতীয় সামরিক আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী হইতেছে, সুতরাং ইহাকে অসামরিক অপরাধ বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে। কিন্তু আসামীগণের বিচার যখন সামরিক আদালতে হইতেছে তখন আর ইহাকে অসামরিক অপরাধ বলা যায় না—ইহাকে তখন সামরিক আইন-বিরুদ্ধ অপরাধই বলিতে হয়। ৬৭ নং ধারা অনুযায়ী আসামীগণকে বিচার করা চলে না, কিন্তু তাঁহাদের সামরিক আদালতে বিচার করিবার জন্যই অর্ডিনান্স জারী করা হইয়াছে।

 আসামী পক্ষ হইতে যে যুক্তি প্রদর্শন করা হইয়াছিল তাহা অগ্রাহ্য করিয়া সামরিক আদালতে এই মত প্রকাশ করেন যে, আসামীদের বিচার করিবার অধিকার এই আদালতের আছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলি তাঁহাদের পড়িয়া শুনান হইলে তাঁহারা তাহা অস্বীকার করেন এবং নিজেদের নির্দ্দোষ বলিয়া ঘোষণা করেন।

 ফরিয়াদী পক্ষের কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীগণ