পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
আজাদ হিন্দ ফৌজ

জঙ্গলে অবস্থান করিতেছিল। বিপদের সময় তাঁহার মধ্যে আজীবন নেতার সমস্ত গুণপনাই তাঁহার মধ্যে পরিলক্ষিত হইয়াছে।

 কর্ণেল ধীলন ৫ই ডিসেম্বর (১৯৪১) জিব্রাতে তাঁহার সৈন্যবাহিনীর সহিত মিলিত হন। চাংলুন রণাঙ্গনে জাপানীদের সহিত যুদ্ধে তিনি তাঁহার সৈন্য ও অফিসারগণসহ বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়েন। ১৬ই ডিসেম্বর পেনাং হইতে ২৬ মাইল দূরে নিবং টাইবলে তাঁহারা উপস্থিত হন। এইস্থানে কর্ণেল ধীলন ও হাবিবকে দুইটি সেতুমুখ রক্ষার ভার দেওয়া হয়। ১৯শে ডিসেম্বর ব্রিটিশ কর্ত্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী পশ্চাৎ অপসরণ করা হয়। ৮ই ডিসেম্বর জাপানীগণের যুদ্ধ ঘোষণার পর কর্ণেল ধীলন অক্লান্তভাবে জাপানীদের বিরুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত করেন। এই সময় তিনি সারাদিনের মধ্যে একবারের জন্যও পূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করিবার সময় পাইতেন না। এই সময় যখন তিনি জ্বরে আক্রান্ত হইয়া হাসপাতালে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তখন ভারতীয় সেনাদের মধ্যে বৈষম্যমূলক ব্যবহারের জন্য তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। তৎপর তিনি ভারতীয় উইং কমাণ্ডার ও অ্যাডজুটাণ্ট পদে বৃত হন ও ভারতীয় সৈনিকগণকে শান্ত করেন।

 যুদ্ধের সময় একবার যখন জাপানীরা অধিকসংখ্যক সৈন্য ও বিমান বাহিনী লইয়া বৃটিশ ও ভারতীয় সৈন্যদিগকে নির্মমভাবে আক্রমণ করিতেছিল, তখন তিনি অনেকের জীবন বাঁচাইতে সক্ষম হইয়াছিলেন। তাঁহাদের পলায়নের রাস্তা বিচ্ছিন্ন হইয়া গেলে তাঁহারা অস্ত্র ত্যাগ করিতে বাধ্য হন এবং তাঁহাদের দলটিকে জাপানী সামরিক বন্দীনিবাসে লইয়া যাওয়া হয়। ক্যাপ্টেন গুরুবক্স ধীলন অতঃপর ব্যাংককে অধিষ্ঠিত পূর্ব এশিয়ার ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত হন।

 এই সময় তিনি মেজর মোহন সিং কর্তৃক গঠিত ভারতীয় জাতীয় বাহিনীতে যোগদান করেন। কর্ণেল ধীলন তিন হাজার আজাদী সৈন্য লইয়া গঠিত “নেহেরু ব্রিগেড” ইম্ফল রণাঙ্গনে পরিচালিত করেন। ১৭ই মে পেগু