পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

(২) যাঁহারা অবস্থা সম্পর্কে জানেন না অথচ তাঁহাদের সঙ্গে যোগ দিতে চান, (৩) যাঁহারা তাঁহাদের সঙ্গে যোগ দিবেন না। প্রথম দুই শ্রেণীকে সংগঠিত করিতে হইবে, তাহাদিগকে অস্ত্রশস্ত্র দিতে হইবে। ৩য় দলকে যুদ্ধ বন্দী করিয়া জাপানের হাতে সমর্পণ করিতে হইবে।

আজাদ হিন্দ ফৌজ নির্দেশনামা

 ১৯৪৪ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর আজাদ হিন্দ ফৌজের এক নির্দেশনামা মিলিটারী সেক্রেটারী ক্যাপ্টেন সেহ্‌গলের আদেশে প্রচারিত হয়। উক্ত নির্দ্দেশ নামায় অস্থায়ী আজাদ হিন্দ ফৌজকে বিভিন্ন কার্য্যের জন্য কিরূপ সম্মানে ভূষিত করা হইবে তাহাই বলা হয়। ইহাতে আরও বলা হয়, কোন বৃটিশ বা মার্কিণ বন্দী বা হত্যা করিতে পারিলে “তঙ্ঘা-ই-শত্রুনাশ’ সম্মান দেওয়া হইবে।

 ১৯৪৫ সালের ২রা এপ্রিল ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ মেজর কাওয়াবারাকে টেলিফোন তার কাটা এবং শত্রুর সাঁজোয়া বাহিনী ও লরীপূর্ণ সৈন্য আমদানী সম্পর্কে জানান।

 ১৯৪৫ সালের ১০ই এপ্রিল ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ ৬০৫, ৭৪৭ এবং ৮০১ ইউনিট-এর প্রতি এক নির্দেশনামা জারি করিয়া জানান, সৈন্যবাহিনীকে বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়াইয়া পড়িতে হইবে, ডিভিসনাল হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকিবে না। শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অবাধ্যতা মূলক অপরাধের জন্য শাস্তি দিবার ভার রেজিমেণ্টাল কমাণ্ডারের উপর দেওয়া হয়।

ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের ডায়েরী

 ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের ১৯৪৪ এবং ১৯৪৫ সালের ডায়েরী সরকারপক্ষের হাতে আসিয়াছে। ডায়েরী ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের নিজের হাতে লেখা।