পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৪৩

উক্ত ডায়েরীতে দেখা যায় ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ ১৯৪৪ সালের ২৭শে জানুয়ারী জাপ বাহিনীর সুপ্রীম কমাণ্ডারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ভারত আক্রমণের নির্দ্দেশ পান; ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি জেনারেল মোতাগুচি (উত্তর ব্রহ্ম জেনারেল অফিসার কম্যাণ্ডিং) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে সর্বপ্রকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

 ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের ৩০শে মার্চ তারিখের ডায়েরীতে এইরূপ লেখা আছে: “কেনেডি পিক হইতে বুবি ফিরিয়া আসিয়াছে। তাহার প্রথম সংবাদ মোটেই শুভ নহে। জাপানীরা আজাদ হিন্দ ফৌজের সেরা সৈন্যদের মজুরের কাজ করাইয়াছে। এ সম্পর্কে কিমেওয়ারীর সহিত আলোচনার জন্য আমি অদ্য হাকে যাইতেছি। এইরূপ ব্যবহারের কি পরিণতি হইবে জানি না।” ১৯৪৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল তারিখের আর একটি লেখায় প্রকাশ, ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ প্রতিরোধকারী বাহিনীর অধ্যক্ষের সহিত সাক্ষাৎ করেন। উক্ত বাহিনীর কার্য্যের পরিবর্তন হইয়াছে। তাহারা এখন “ইম্ফলের” যুদ্ধে যোগদানের জন্য যাইতেছে। এই বাহিনীর অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন শাকনোওরামকে, তিনি আসন্ন যুদ্ধে কোন্ বাটের ভার লইবেন— তাহা বাছিয়া লইতে বলায় ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ “ইম্ফল” অক্রমণ করিবেন বলিয়া জানান।

অনাহারে আজাদ হিন্দ ফৌজের লোকদের মৃত্যু

 ১৯৪৪ সালের ৭ই জুলাই তারিখের জরুরী—“আমি এবং কিমেওয়ারির নির্দ্দেশ গ্রহণের জন্য জেনারেল হেডকোয়ার্টারে গিয়াছিলাম। লোকেরা খাদ্যদ্রব্য পাইতেছে না। ৪ জন গাড়োয়ান অনাহারে প্রাণত্যাগ করিয়াছে। আমি এবং রামস্বরূপ খাদ্যসামগ্রীর একটা কিছু ব্যবস্থা করার জন্য হিকারী কিকানের নিকট গিয়াছিলাম, মনে হইল তাহারা কিছুই করিবে না। আমার