পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

লোকদের ইচ্ছা করিয়া না খাইতে দিয়া মারিয়া ফেলার পশ্চাতে যে কি উদ্দেশ্য আছে জানি না।

 ১৫ই জুলাই তারিখের ডায়েরীতে প্রকাশ, অনাহারে বহুলোকের মৃত্যু হইতেছে। কেহ কেহ আত্মহত্যা করিতেছে। জাপানীরা কিছুই সাহায্য করিতেছে না।

 ৮ই আগষ্ট তারিখের ডায়েরী—“কিমেওয়ারীর জবাব সহ যুওয়া হইতে প্যারার প্রত্যাবর্তন। তাঁহার নিকট টাকা বা অন্য কোন প্রকার সাহায্য লাভের কোন ব্যবস্থাই হয় নাই। তিনি পরামর্শ দিয়াছেন যে, তেরায়ুনে আমাদের যে সমস্ত লোক অসুস্থ অবস্থায় রহিয়াছে, তাহাদের আত্মহত্যা করা উচিত।”

 এডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, “১৯৪৫ সালের ডায়েরীও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ২১শে ফেব্রুয়ারী তারিখের একটি লেখায় প্রকাশ, ঐদিন রাত্রিতে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ যুদ্ধক্ষেত্রে যাত্রা করিতেছেন। তিনি মধ্য রাত্রে পোপা অভিমুখে রওনা হন। নেতাজী তাঁহাকে বিদায় সম্ভাষণ জানাইতে আসিয়াছিলেন। তিনি তাঁহাকে সর্বপ্রকার নির্দ্দেশ দেন। শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুকে নেতাজী বলা হয়।”

 ১৯৪৫ সালের ২২শে ফেব্রুয়ায়ারী তারিখের ডায়েরীতে বলা হইয়াছে যে, ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ ভোর পাঁচটায় কুয়াক পাদাউঙ্গে পৌঁছিয়াছে। ইন্দো গ্রামে তিনি লেঃ ধীলনের সহিত সাক্ষাৎ করেন। প্রায় পাঁচ শত দলছাড়া লোককে খুঁজিয়া পাওয়া গিয়াছে। লক্ষণ মোটেই ভাল নহে। লেঃ ধীলন শাহ নওয়াজের সহিত সাক্ষাৎ করেন। বেলা সাত ঘটিকায় তিনি রিয়াজ এবং শেয়ালের সহিত সাক্ষাৎ করেন। ২৩শে ফেব্রুয়ারী তারিখের ডায়েরীতে প্রকাশ, শাহ নওয়াজ ইরাবতী বরাবর শত্রুকে ধাওয়াইয়া লইয়া যাওয়ার নির্দেশ পাইয়াছেন। তিনি আত্মরক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা করেন এবং অফিসারদের নিকট