পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৬৫

 ইহার পর ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের ১৯৪৪ সালের এবং ১৯৪৫ সালের ডায়েরী হইতে কিছু কিছু অংশ পাঠ করা হয়।

 তিন সপ্তাহ মামলা স্থগিত থাকার পর ২১শে নভেম্বর, লাল-কেল্লায় পুনরায় বিচার আরম্ভ হইলে প্রতিবাদী পক্ষের সিনিয়ার কৌঁসুলী মিঃ ভুলাভাই দেশাই সরকার পক্ষের প্রথম সাক্ষী লেফটেনেণ্ট নাগকে প্রায় চার ঘণ্টাকাল জেরা করেন।

 শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই এর এক প্রশ্নের উত্তরে লেঃ নাগ স্বীকার করেন যে, ১৯৪৩ সালের শেষভাগে সুভাষচন্দ্র এক বক্তৃতায় বলেন যে,—‘নিজস্ব গভর্ণমেণ্টের নেতৃত্বেই আজাদ হিন্দ ফৌজ অভিযান আরম্ভ করিবে এবং উহা ভারতে প্রবেশ করিলে মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলির শাসন ক্ষমতা অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টের হাতেই থাকিবে। আমাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় এবং আত্মোৎসর্গ দ্বারাই ভারতের মুক্তি অর্জ্জন করিতে হইবে।” অপর একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে, জাপানের তাঁবেদাররূপে আজাদ হিন্দ ফৌজকে রাখিবার চেষ্টা করা হইলে ইহা ভাঙ্গিয়া দেওয়া হইবে—গোড়া হইতেই প্রত্যেকেরই এই লক্ষ্য ছিল। ভারতীয়দের জন্য ভারতবর্ষের মুক্তিলাভ করাই তাহাদের আদর্শ ছিল।

 জেরার উত্তরে লেফটেন্যাণ্ট নাগ বলেন যে, তিনি প্রথমে ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর হইতে ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং পরে ১৯৪৩ সালের মে মাস হইতে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজে কাজ করেন। ১৯৪২ সালের ডিসেম্বর হইতে ১৯৪৩ সালের মে পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজে একটি সঙ্কট দেখা যায়। প্রথম আজাদ হিন্দ ফৌজ ভাঙ্গিয়া যাইবার পর তাঁহাকে একটি আভ্যন্তরীন শিবিরে আনয়ন করা হয়। ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি শুনেন যে, দ্বিতীয় আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের সংবাদ পান।

 লেফটেন্যাণ্ট নাগ বলেন যে, আজাদ হিন্দ ফৌজে কাজ করিবার সময় তিনি দুইটি পদ অধিকার করিয়াছিলেন; একটি হইল আজাদ হিন্দ ফৌজের ‘জজ