পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s२१ ] শিক্ষণশাস্ত্র, ধ্যাকরণশাস্ত্র, নিৰুক্তশাস্ত্র, ছন্দঃশাস্ত্র এবং জ্যোতিঃশাস্ত্র এই ছয়টি বেদের অঙ্গ । বেদের এক প্রধান অঙ্গ ব্যাকরণ শাস্ত্রের “বৃত্তিশদৈকদেশস্য সম্বন্ধস্তেন নেষ্যতে ॥” সমস্তপদের এক দেশের সহিত অসমস্ত পদের অন্বয় স্থইবেক না । এই নিয়ম, ইন্দ্র, চন্দ্র, কাশরুম, পিশলী, শাকটায়ন, পাণিনি, অমর এবং জৈনেন্দ্র এই আট জন আদিশাদিক ঋষির সম্মত এবং তন্মতানুষায়ী প্রায় সকল বৈয়াকরণদিগের অবলম্বিত । প্রতিবাদী মহাশয়ের সেই বিধি নিয়ম উল্লঙ্ঘন পূর্বক এই বচনের স্বার্থসাধক অন্যার্থ স্বেচ্ছানুসারে কল্পনা করিবার জন্য যখন লেখনী ধারণ করিয়াছিলেন বোধ হয় তৎকালে জিগীষা, ঈর্ষ্যা, প্রভূতি পাপপ্ররক্তি সমুদয় অবশ্যই তাহদের চিত্তক্ষেত্র অধিকার করিয়াছিল, নতুবা তাহাদিগের তাদৃশ নির্দোষচিত্তে এরূপ স্থল দোষ কখনই অলক্ষিত থাকিবার মহে ! সকলে বিবেচনা করিয়া দেখুন যে অপরিহার্ষ্য বিশেষ কারণ ব্যতীত বেদের কিম্বা বেদাঙ্গ ব্যাকরণ প্রভূতি শাস্ত্রের নিয়ম লঙ্ঘন করিয়া মুনিবচনের সঙ্কোচ করিতে সাহসী হওয়া দুঃসাহসিকের এবং অবিশ্বশ্বকারির কার্য্য বলিয়া প্রতিপন্ন হইতেছে কি না । ৰৈয়াকরণের ; রভিশদৈকদেশস্য সম্বন্ধস্তেন নেষ্যতে “ ( অর্থাৎ ) সমস্ত পদের একদেশের সহিত অসমস্ত পদের অন্বয় হয় মা এরূপ নিয়ম না করিলে প্রভিবাদী মহাশয়দের কথঞ্চিৎ অভীষ্টসিদ্ধির সম্ভাবন হইত। কিন্তু বৈরাকরণেন্নাই তাদৃশ বুদ্ধিরস্থলে কুঠারাঘাত করিয়াদিয়াছেন । “ম্বিন্ধ"