আরণ্যক SS9 ভয় হয়, শেষ-রাত্রের অন্ধকারে বুনো হাতীর দল সামনে না-আসে। মধুবনীর জঙ্গলে এক পাল বুনো হাতীও আছে। এবার আশে-পাশে ছোট ছোট পাহাড়, তার মধ্য দিয়া পথ, পাহাড়ের মাথায় নিম্পত্র শুভ্রকাণ্ড গোলগোলি ফুলের গাছ, কোথাও রক্ত-পলাশের বন । শেষরাত্রের চাদ-ডোবা অন্ধকারে বন-পাহাড় অদ্ভুত দেখায়। পূর্ব দিকে ফসৰ্প হইয়া আসিল-ভোরের হাওয়া বহিতেছে, পাখীর ডাক কানো গেল। ঘোড়ার সর্বাঙ্গ দিয়া দর-দর-ধারে ঘাম ছুটিতেছে, ছুটু, ছুটু, খুব ভাল ঘোড়া তাই এই পথে সমানে এত ছুটিতে পারে। সন্ধ্যায় কাছারি ছাড়িয়াছি-আর ভোৱ হইয়া গেল। সম্মুখে এখনও যেন পথের শেষ নাই, সেই একঘেয়ে বন, পাহাড় । সামনের পাহাড়ের পিছন থেকে টকটকে লাল সিঁদুরের গোলার মত সুর্য্য উঠিতেছে। পথের ধারে এক গ্রামে ঘোড়া থামাইয়া কিছু দুধ কিনিয়া দু’জনে খাইলাম। পরে আরও ঘণ্টা-দুই চলিয়াই পূর্ণিয়া শহর । পুণিয়ায় স্টেটের কাজ ত শেষ করিলাম, সে যেন নিতান্ত অন্যমনস্কতার সহিত, মন পডিয়া রহিল পথের দিকে। আমার সঙ্গীর ইচ্ছা, কাজ শেষ করিয়াই বাহিয় হইয়া পড়ে- আমি তাহাকে বাধা দিলাম, জ্যোৎস্না-রাত্রে এতটা পথ অশ্বারোহণে যাইবার বিচিত্র সৌন্দর্য্যের পুনরাস্বাদনের লোভে। গেলামও তাই। পরদিন চাদ একটু দেরিতে উঠিলেও ভোরা পর্যন্ত জ্যোৎস্না KLD DKBDS DDD D DDD DYYLB SDBOBD BDLDBDD BBBLDDDB YYSLYLD বনে-পাহাড়ে যেন এক শান্ত, স্মিথ, অথচ এক আশ্চর্য্যরূপে অপরিচিত স্বল্পজগতের রচনা করিয়াছে - সেই খাটো খাটো কাশ-জঙ্গল, সেই পাহাড়ের সানুদেশে পীতবর্ণ গোলগোলি ফুল, সেই উচু-নীচু পথ - সব মিলিয়া যেন কোন বহুদূরের নক্ষত্রলোক-মৃত্যুর পরে অজানা কোন অদৃশ্য লোকে অশৰীৱী হইয়া উড়িয়া চলিয়াছি-ভগবান বুদ্ধের সেই নিৰ্বাণ লোকে, যেখানে চন্দ্রের উদয় হয় না, অথচ অন্ধকারও নাই । অনেক দিন পরে যখন এই মুক্ত জীবন ত্যাগ করিয়া সংসারে প্রবেশ করি, ክም
পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭
অবয়ব