পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে তাকে নিয়ে সবাই ভাবনা চিন্তা করবে, ব্যস্ত আর বিত্রত হয়ে পড়বে, এটাই হবে তার মস্ত সুখ। সংঘাত থেকে তোমারও এই রকম একটা মানসিক অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে, কতগুলি ভুল ধারণা জন্মেছে। এইজন্য তোমার ভিতরকার সংঘাত আর তার কারণগুলি আমাকে এত খুটিয়ে খুটিয়ে বুঝতে হয়েছে, তোমাকে বোঝাতে হয়েছে। ভুল ধারণাও মানসিক বিকার কিন্তু রোগীর যদি জানা থাকে এটা বিকার-বিকারটা বজায় রাখলে এমন কি বাড়িয়ে গেলেও আর যাই হোক, হিষ্টিরিয়া হবে না। তুমি বিকৃত ইচ্ছা, বিকৃত চিন্তা-ভাবনা মনে লুকিয়ে রাখে, গোপনে তোমার বিকৃত সাধ মেটাও-সেটা আলাদা ব্যাপার। তা থেকে হিষ্টিরিয়া জন্মায়না । কেশব নিশ্বাস ফেলে বলে, তা হলে অবস্থাটা কি দাড়াল সারা ? রোগটা আরোগ্য হবেন ? ডাক্তার দত্ত অভয় দিয়ে বলে, ভড়কে যেওনা । তোমার বোঝার মধ্যে গলদ রয়েছে-গলদটা আমাকে ধরতে দাও । আজ কেশবের প্রথম মনে হয় যে তার বোঝার মধ্যে নয়, ডাক্তার দত্তের বোঝার মধ্যেই কোন গলদ আছে । তার রোগটাকেও ঠিকমত বুঝে উঠতে পারছেন । বড়লোক রোগীরই চিকিৎসা করে এসেছে এতকাল, তার ধাতটা ঠিক ধরতে পারছেন । এত চেষ্টা করেও চিকিৎসার ফল হচ্ছেনা । অর্থাৎ অসুখটা তার সারবে না । ডাক্তারের কাছে যাবার জন্য দু’ঘণ্টার ছুটি নিয়েছিল, বীরেশের বাড়ী ফিরে না গিয়ে সে সটান বাড়ী ফিরে যায়। হতাশার বদলে এবার সে বোধ করে প্রচণ্ড জ্বালা । রাগে