পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩াকে তো বুঝতেই হবে এটা কি ব্যাপার। পাগল কমল সেরে যাবে । তার রোগটা কেন সারবে না ? এরও একটা কারণ আছে নিশ্চয় ? চারদিনের দিন প্রায় রাত্রি থেকে উঠে একটিবার সহরে যাবার জন্য, ললনার সঙ্গে একটু মেলামেশার জন্য, অস্থির হয়ে ওঠে কেশবের are মায়ার সঙ্গেও এ ক’দিন দেখা সাক্ষাৎ কথাবার্ত্তা নেই । এ রাত্রিটা ভোর হয়েছে। সহর থেকে ফিরে আজ রাত্রেই মায়াকে সে টের পাইয়ে দেবে, তাকে নিয়ে ঘর বঁাধতে না পারুক কত সে তাকে ভালবাসে । ভোর রাত্রে ঘাটে নাইতে গেলে কঁাচের গেলাসে চুরি করে সদ্য ‘দোয়া উষ্ণ টাটকা দুধ নিয়ে মায়া আজি আসে না । বাছুর বড় হয়েছে। দুধটাও ঘন হয়েছে। বেশি দুধ আনিবার সাহস মায়ার হয় না, কোন গরু কত খেলে কত দুধ দেয় সে হিসাব -গোয়ালা কেন, ছা-পোষা গোরস্থরও জানা হয়ে গেছে । যেটুকু দুধ মায়া আনে, এক চুমুক খেয়ে কেশবের মনে হয় খানিকটা অমৃত

  • = कब्ल ।

আজ মায়া না আসায় কেশব ভাবে, ভোরের আগেই ঘাটে এসেছে রাত থাকতে ! মায়া বুঝি তাই টের পায়নি। আধঘণ্টা পরে আবার সে ডোবায় আসে । আধঘণ্টা আগে যে ডোবায় এসে ডুব দিয়ে গেছে সেটা বাতিল করতে হয় বাধ্য হয়ে । শীতের রাত্রিশেষে একবার ডুব দিয়েছে মায়ার জন্য, আজ রাত্রে S8 o