পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৫ ৷৷ সমষ্টিগত সচেতন স্মৃতি নাই। সংস্কারের পথে জীবনযাত্র। তাই । যাহার বঁাধা, সে জীবন-যাত্রায় ছেদ পড়িবার পর ভাবী-কালের জন্য কোন | দুত্ত রাখিয়া যায় না,-অভিজ্ঞতার স্মৃতির উত্তরাধিকারের দ্বারা সে। বিষ্যৎকে সমৃদ্ধ করিয়া যায় না। . জাতিকে নিজেকে চিনিয়া বড় হইতে হইলে ইতিহাসের পশ্চাৎ-পটগহার স্মৃতিতে থাকা একান্ত আবশ্যক। ইতিহাসের মধ্যেই নিজের স্বরূপ । }পলব্ধি করিয়া ভবিষ্যৎকে রচনা করিবার উদ্দীপনা-মন্ত্র আমরা লাভ করি। - বাঙ্গালী সত্যই আত্মবিস্মৃতি জাতি। এক ভৌগোলিক সীমার দ্বারা Iাহারা বেষ্টিত, নিজেদের সত্যকার পরিচয় ডুবিয়া গেলে তাহারা জাতীয়তার ল-শক্তির উৎস তারাইয়া ফেলে। ভৌগোলিক সীমার বন্ধন বাহ্যিক ঐক্যের আভাস দেয় মাত্র-আন্তরের ঐক্য দেয় জাতির ইতিহাস । বাঙ্গালীর এই ঐতিহাসিক স্মৃতি একেবারে বুঝি বিলুপ্ত হইয়া গেছে। বুলিলেই হয়। নদীমাতৃক এই কোমল মাটির দেশে অতীতের পদ-চিহ্ন সহজেই লুপ্ত হইয়া যায়। বিবিধ বন্যা-প্লাবিত দেশের বহুদূর বালির ভিতর সৃষ্ট ত সে চিহ্ন খুজিয়া বাহির করা কঠিন। এখানকার ইতিহাসের ধারাও দেশের নদীগুলির মতই চঞ্চল, বহুমুখী, বেগবান। পার বার সে পুরাতন খাত ट्रांछिश। নূতন পথ ভাঙিয়া তৈয়ার করিয়াছে। প্রাচীনের ভগ্ন স্তৃপ নূতনের ভিত্তিতলে অদৃশ্য হইয়া গিয়াছে। এই ইতিহাসকে সযত্নে উদ্ধার করিবার জন্য অক্লান্ত কর্ম্মী, অসাধারণ **ঈল সাধকের প্রয়োজন ছিল। শুধু পণ্ডিত নয়, দেশের ধূলিকণা যাহার *"ষ্ট পবিত্র, র্যাহার হৃদয় সমস্ত বিপুল, বিচিত্র কাহিনীতে আপনা হইতে *** ভাবে সাড়া দিয়া উঠে, তেমন একজন দরদীই এ কার্যের ভরি লইবার गा5ा । শেই যোগ্য বাক্তিই সম্প্রতি এ ভার লইয়া আমাদের ধন্য করিয়াছেন " "** পারি। বাঙ্গলার সাহিত্যের ইতিহাসকে যিনি একদিন অসাধারণ "**' ও অসামান্য অধ্যাবসায়ের দ্বারা বিস্মৃতির তমসা হইতে উদ্ধার ***য়ী ছিলেন, বাঙ্গালীর ইতিহাস রচনায় তিনিই বা অঁকোর छ्रदर्दिव्लङॉ ७ ** স্বাস্থ্য উপেক্ষা করিয়া কল্পনাতীত শক্তির পরিচয় দিয়াছেন।