পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( St ) উছাদের মধ্যে যেগুলি পশ্চিমদিকের দেয়ালে রহিয়াছে উহাদের অধিকাংশই মধ্যপ্রদেশ হইতে আনিত । পরবত্তা বীথিতে পূর্ব্বদেয়ালে উড়িষ্যার ভূবনেশ্বরের কতিপয় কারুকার্য্য যুক্ত মুক্তি ও সেই সমৃদ্ধনগরের কতকগুলি শিল্পসৌন্দর্য্যের ছাঁচ আছে। ইঙ্গর পশ্চিম দেয়ালে কতিপয় নাগনাগিনীর মূর্ত্তি । ইহাদের মধ্যে একখানি পাথরে নাগদম্পতির দেহের সপাকার অংশ বেশ সুন্দরন্ধপে জড়ান রহিয়াছে । পরবর্তী বীথির সম্মুখে, গৃহ মধ্যস্থলের লম্বা টেবিলে সুদীর্ঘ প্রস্তরখানি বিশেষ দ্রষ্টব্য। যাদুঘরের কেবলমাত্র এই প্রস্তরখানিতেই ব্রহ্মার পুজার প্রণালী দেখানহইয়াছে । উহার সম্মুখবর্তী বীথিতে সপ্তমাতৃকার, ও অগ্নি, গণেশানী প্রভৃতি দেবতার প্রতিমূর্ত্তি দেখান হইয়াছে। পরবর্তী বীথির দ্বার সম্মুখে স্থউচ্চ প্রস্তরস্তম্ভ হিন্দুকারুকার্য্যের এক মুন্দর নিদর্শন। ১৭শত খৃষ্টাব্দে রাজমহলে মুসলমানগণ র্তাহাদের এক প্রাসাদ নির্ম্মাণের জন্ত ইহা ব্যবহার করিয়াছিলেন। এই স্তম্ভটির সুন্দর ও বিচিত্র পাদদেশটির বর্ণনা প্রয়োজন। এই প্রণালীর পারিভাষিক নাম “স্থালী ও পল্লব পাদ ।” অনুমিত হয় যে এই প্রণালী প্রাচীন ভারতের সেই যে মাটীর কলশের অভ্যস্তরে কাঠের খুটি পুতিবার রীতির অনুকরণ । উইপোকার ভয়ে এরূপ করা হইত বলিয়া অনুমিত হয়। পাথরের নক্স ঐ প্রণালীর অনুকৃতি । এই বীথির দেয়ালে রতি ও তৃষার সহিত কামদেব, এবং কার্ত্তিক, গণেশ ও যমুনার মূর্ত্তি এবং পশ্চিমের দেয়ালে দুর্গার মুক্তি রহিয়াছে। স্বরটির ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় স্থাপিত গ্লাসকেসটির ভিতরে বুদ্ধগয়া হইতে আনীত নানারকমের পুরাতন জিনিস সব সাজান রহিয়াছে। ইহার দক্ষিণদিকে উৎকৃষ্ট চীনদেশীয় লিপিযুক্ত বড় রকমের একখানি পাথর আছে। এখানি কোন একজন তদেশীয় ধর্ম্মযাজক কর্তৃক বুদ্ধগয়ায় স্থাপিত হইয়াছিল। ইনি ১৯২২ খৃষ্টাব্দে বুদ্ধগয়ায় আসেন। তিনি কেমন করিয়া বোধিমন্দিরের সম্মুখে প্রস্তরের একটি দেবমন্দির নির্ম্মাণ করিয়া