পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈলাস বলে, একটা জমায়েত করা যাক। মিছিল করে সদরে যাব । একজন রোগী বিগড়ে যেতে বসায়, নন্দ আটকে গিয়েছিল, সবেমাত্র এসে বসেছে। সে বলে, আমিও তাই ভাবছিলাম। কৈলাস জানে, শুধু ভূখা মিছিল হবে না। দুমুঠো। ধান পেয়ে, একটু ফকির রিলিফ পেয়ে, খিদে মিটবে না। তাদের । কিন্তু আর কি করার আছে। কৈলাস তো জানে না ! ܣ কৈলাসের ভিতরের অস্থিরতা বেড়ে চলেছে টের পাওয়া যায়। টের পায় অবশ্য বিশেষভাবে শুধু লক্ষ্মী এবং খানিক খানিক দু-চারজন অন্তরঙ্গ মানুষ। ভিতরে একটা গভীর ব্যাকুলতা এসেছে বলেই এমনভাবে ছটফট করে বেড়ানোর মানুষ কৈলাস নয়। সে যে সকলেই টের পেয়ে যাবে। এটুকু সংযম না থাকলে কি আর সামান্য একজন কম্পোজিটর হয়েও এত বড় একটা এলাকার ভদ্রসমাজ থেকে চাষী-কারিগর হাড়ী-বাগ দীর স্তরে সাফমাথা নির্ভরযোগ্য কাজের মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব হত ! খাতিরটা তার তথাকথিত নেতা হিসাবে মোটেই নয়। ধাতটাই সে-রকম নয়। কৈলাসের। নইলে এ এলাকার মানুষগুলির অংশবিশেষের বেশ জোরদার মার্কামার নেতা সে অনায়াসেই হতে পারত । ওসব শখ তার নেই । দশজনের সব ব্যাপারেই সে প্রায় কমবেশী জড়িয়ে থাকে। অথচ কোন ব্যাপারেই এগিয়ে গিয়ে দায়িত্ব নিয়ে কর্তালি করার কিছুমাত্র তাগিদ তার আছে মনে হয় না। দশজনের একজন হয়ে সে দশজনের সঙ্গে আছে-এইটইে অত্যন্ত সহজ ও স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় তার কথাবার্তা চালচলনে । বিনয়ের তার কিছুমাত্র বাড়াবাড়ি আছে মনে হয় না, কিন্তু নিজের মতটা বা কথাটা দশজনকে মানাবার জন্য এতটুকু জিদও কেউ কোনদিন দ্যাখেনি। SS