পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবল । wo අම් فمبر সারানিশ জাগিয়াছি দেখ সব বাসী । • কারে বা কহিব আর বোঝা হল দায় । গঙ্গাজলে গঙ্গাজল অঙ্গ ধুয়ে আসি, খুলে দিলে মন কিহে তুলে রাখা যায় ? অতি ভোরে ফুল লয়ে গিয়াছেন মাসী' বিষম দুরন্ত ওটা মেজোবোর বেটা । এক আমি আসিয়াছি नन्न লয়ে দাসী ॥ কোনমতে - নে নাকে ছোড়া বড় ঠেটা । এসেছি বাপের কাছে ছেলে মেয়ে ফেলে। না দিলে ধমক্‌ দেয় দুই চক্ষু রেঙ্গে । রাধাবাড়া হবে সব আমি নেয়ে এলে | ঘটী বাটি হাড়ি কুড়ি সব ফেলে ভেঙ্গে ॥ ঘোর জাক বাজে শাক যত সব রাম। পুলি সব উঠে গেল কিছু নাই ছাই। কুটিছে ত ধুল মুখে করি ধামা ধামা ॥ নারিকেল তেল গুড় ফের সব চাই ॥ বাউনি আউনি ঝাড়া পোড়া আখ্যা আর । অদৃষ্টের দোষ সব মিছে দিই গালি । O মেয়েদের নব শাস্ত্র অশেষ প্রকার | চৰ্ব্বণে উঠি গেল পাৰ্ব্বণের চালি । তুক্‌ তাকৃ মন্ত্র তন্ত্র কতরূপ খ্যাল। আমি লই মোট চাল সরু চেলে চলে । পাদাড়ে ফুলিছে শু্যাল খাল খাল খাল ॥ বুঝিতে না পারি তুমি চল কোন চেলে। খেলায় পিটুলী দেন হয়ে অতি শুচি। এ বাড়ীর মেয়েদের বলিয়াছি খেলত । ছ্যাক ছাক শব্দ হয় ঢাকা দেন মুচি ৷ নুতন জামাই আজ আসিবেন রেতে ॥ উনুনে ছাউনি করি বাউনি বাধিয়া । তোমার কি ঘর পানে কিছু নাই টান। চাউনি কৰ্ত্তার পানে কাঞ্ছনি কঁাদিয়া ॥ হাবীতের হাতে যায় অভাগীর প্রাণ ॥ চেয়ে দেখ স সরেতে কতগুলি ছেলে । কি বলিব বাপ মায় কেন দিলে বিয়ে। বল দেখি কি হইবে নয় রেখ চেলে ? একদিন মুখ নাই ঘরকন্না নিয়ে ॥ ক্ষুদ কুড়া গুড়া করি কুটিলাম ঢেকি । কোন দিন না করিলে সংসারের ক্রিয়ে । কেমনে চালাই সব তুমি হলে টেকি । দিবানিণি ফেরো শুধু গোপে তেল দিয়ে । , অtড় করি পার দিতে সিকি গেল গড়ে । সবে মাত্র দুই গাছ। খাড় ছিল হাতে। লেন্স করি নাহি হয় অধিপোয়া গড়ে ॥ তাহাও দিয়াছি বাধা মেয়েটার ভাতে । ছাই করি রাপিলাম অৰ্দ্ধ ভাগ কেটে । মুদে মুদে বেড়ে গেল কে করে থালাস । হাতে হাতে গেল তিল তিল তিল বেটে। বড়িবার সাধ নাই মলেই খালাস ॥ ঝোল গুড় তোলা ছিল শিকের উপরে । রাত্রিদিন খেটে মরি এক সন্ধ্যা খেয়ে । তোলা তোলা খেতে দিয়া ফুরাইল ঘরে ॥ এন্ড জালা সহ করি আমি যাই মেয়ে ৷ পোয় কঁাচ্চ কি করিবে নহে এক মন । , এইরূপ প্রতি ঘরে দৃশু মনোহর। বাড়ীর লোকের তাহে মহে এক মন ॥ গিরীর কাড় দি চুয় কর্তার উপর। একমনে খায় যদি আtধ মণে সারি । মাগীদের নাহি আর তিন রাত্রি ঘুম। একমনে না খাইলে দণ,মণে হারি । গড়াগড়ি ছড়াছড়ি রন্ধনের ধুম ॥ ভাঙ্গামণে পুরোমণ মন যদি পোলে। সাবকাশ নাই মাত্র এলোচুল বাধে। পুরোমণে কি হইৰে ভাঙ্গ মন হলে ॥ ডাল ঝোল মাছ ভাত রাশি রাশি রাধে ॥ তুমি ভাব ঘরে আছে যত যন তোলা । কত তার র্কাচ থাকে কত যায় পুড়ে । ” জন না কি ঘরে আছে কত মণ তোলা ॥ সাপে রাধে পরমান্ন নলেনের গুড়ে ।