পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদেশ । موافV যখন তাকাইয়া দেখি, তখন ভক্তির আদি কথা জানিতে বাসনা হয়। কিন্তু তাহ দেখিতে দেখিতে যেন অলক্ষ্য স্থানের ভিতর মিশাইয়া যায়। কবে কোন সময়ে যে ঠিক ভক্তির সঞ্চার হইল, তাহ কে বলিবে ? তখন যে বাদ্য বাজিয়াছিল, কোকিলের শব্দ সে শব্দের কাছে কর্কশ, তখন যে দিবাত্র নয়ন গোচর হইয়াছিল, প্রভাতের সৌন্দর্য্য তাহার কাছে মলিন। তখন আকাশ হইতে স্থত্রের মত কিছু নামিল, স্বৰ্গ সংসারকে স্পর্শ করিল, ক্রমে ক্রমে ভক্তি সঞ্চারিত হইল। প্রথমে যখন এই খোল ক্রয় করা হয়, সংগোপনে বাজান হয় ; প্রথমে সংকীৰ্ত্তনের এই গান হয়, “পাপে মলিন মোরা চল চল যাই রে, পিতার চরণে ধরে কাদিয়ে লুটাই রে ।” তোমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, র্যাহাদের সে সকল মনে নাই । তোমরা নববৃন্দাবনের নবীন ভক্তিরস পান করিয়াছ, কিন্তু আমরা যখন প্রথমে পাপে মলিন হইয়া পিতার চরণ ধারণ পূর্বক কাদিয়া লুটাইয়াছিলাম, তখন তোমরা কোথায় ছিলে ? ভক্তমণ্ডলী, তোমরা আজ সেই নাম-রহিত অনন্তকে কত নাম-যোগে সম্বোধন করিয়া ডাকিতেছ, আমরা তখন জগদীশ্বর’, ‘পরমাত্মা’ প্রভৃতি ইষ্টকের মত শুষ্ক নাম গলায় বাধিয়া ভবসাগরে নামিয়াছিলাম। খোলের বাষ্ঠের সঙ্গে সঙ্গে “পতিত-পাবন-ভকত জীবন বলরে তোরা” রচিত হইল, নূতন নামের পর নূতন নাম আসিয়া পড়িল । হে খোল, তুমি অশ্রদ্ধার পাত্র ছিলে, শ্রদ্ধার পত্র হইলে, আদরের দ্রব্য হইলে । এই খোলের প্রবর্তৃক প্রথমে খোলানুরাগী ছিলেন না ; ব্রহ্মের ইঙ্গিতে তিনিই খোল আনয়ন করিয়া দম দম্ শব্দে আকাশকে বিকম্পিত করিলেন। এই করতালের ঝনঝনায় আমাদিগের কর্ণে তালি লাগিত, এখন করতাল বিন চলে না । যাহা হউক, সেই ভক্তির শব্দের.