পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ob” উপদেশ । যদি অভ্রান্ত আলোক মনুষ্যহৃদয়ে প্রকাশিত হয়, তবে যে তাহার কি আনন্দ হয়, তাহ বলা যায় না। সে মানুষ আর মানুষ থাকে না, সে দেবত্ব লাভ করে। একে ত ঈশ্বর আছেন এই স্থসংবাদ, তার পরে তার সঙ্গে মনুষ্যের সাক্ষাৎ হয় ; ব্রহ্মদর্শন সম্পর্কে এই গভীরতর সংবাদ । তার পর ঈশ্বর সাধকের অন্তকরণের গভীরতম নিলয়ে পৃথিবীর সম্পর্কে বৰ্ত্তমান মুহুর্তে তাহার কি ইচ্ছ, যখন তাহ প্রকাশ করেন, তখন সাধকের কত আহলাদ হয়। শাস্ত্রে লিখিত আছে, ঈশ্বর যখন র্তাহার বিধি প্রচার করিবার জন্য মুম্বাকে আহবান করেন, তখন মুয়া সম্মুখে অগ্নি দেখিয়া বলিলেন, প্রভো! আর যে অগ্রসর হইতে পারি না। পরে মুষ গভীর ধ্বনিপূর্ণ এই কথা শ্রবণ করিলেন, মুষ, অগ্রসর হও। সেই শব্দ শুনিয়া তিনি সেই উজ্জল আলোকের সমক্ষে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। মুষাকে ঈশ্বর যাহা বলিলেন, তাহ প্রস্তরে লিখিত আছে। তাহ বাহিরের কর্দম-নিৰ্ম্মিত প্রস্তর নহে। পাঁচ ছয় সহস্র বর্ষ পূৰ্ব্বে ঈশ্বরের অভি. প্রায় ব্যক্ত হইয়াছিল ;–মিথ্যা কহিও না, তুরাচার করিও না ইত্যাদি । এখন পৃথিবী তদপেক্ষ অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছে ; কিন্তু ঈশ্বরের অভি- , প্রায়ের কি শেষ হইয়াছে ? প্রেমপরিবার গঠন করিতে হইবে, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত হইল, তার পর ভক্তিভাবে উন্মত্ত হইতে হইবে, এই অভিপ্রায় প্রকাশ হইল। এখন কি আর তিনি কোন অভিপ্রায় ব্যক্ত করিবেন না ? বর্তমান ব্রাহ্মসমাজ সম্পর্কে কি তাহার কোন অভিপ্রায় নাই ? এখান হইতে পঞ্জাবে, পঞ্জাব হইতে বম্বে পর্যন্ত গমন কর, দেখিবে শুষ্কতা, অভক্তির কীট ব্রাহ্মসমাজ-পুষ্পকে আক্রমণ করিতেছে। ধন্যবাদ করি ঈশ্বরকে, এখনও ব্রাহ্মসমাজের মূল বিনষ্ট হয় নাই। পুস্তক পাঠ কর, কাঙ্গালকে অন্ন বস্ত্র দাও, সদনুষ্ঠান করিয়া দেখ, সেই কীটকে দূর করিতে