পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮২০
উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

দেখিলে আজকালকাব ক্যাঙারুগুলির কথা মনে হয়। ইহাদেব পিছনেব পাযেব হাডগুলিব গঠন অনেকটা উটপাখিব হাড়ের গঠনেব মন। পিছনেব দুই পা ভর্ব কবিই সচবাচব চলিত, চলিবাব সময় সামনের পা বেশি ব্যবহার কবি৩ না। কুমিবেব দাঁত কেমন ভয়ানক তাহা সকলেই দেখিয়াছি। মিগালোবেসেব ইহাব চাইতেও ভযানক কবাবে মন দাও, এবং এব উপব আবাব ভযানক ধাবালো নখ ছিল। লাফাইবাব আব ছুটিবাব ক্ষমতাও অসাধারণ। সে সমযে বাঘ ভাল্লুক ছিল না, ৩াহাব বদলে ইহাবাই ছিল। | ডাইনোসর খুব প্রকাণ্ড ছিল, ভযানকও ছিল, আবাব এক একটা মিষ্টি অদ্ভুতও ছিল। একটা ডাইনোসব ছিল, তাহাকে এখন পণ্ডিতেরা ইযালোডণ' (অর্থা, যানাব মন দাঁত যাব ইগুয়ানা একবকম গোসাপ) বলিযা থাকে। প্রথমে এই জং। দাঁত পাওয়া গিযাছিল। তাহা দেখিয়া ৩খনকাব সকলেব চেয়ে বড় পণ্ডি৩ কুপিয়ে বলিলে এটা হিপোপটেমাসের দাও।’ কিছুদিন পরে ঐ জন্তুর সামনেব পাযেব বুড়ো আঙুলের একটা নখ পাওয়া গেল। তাহা দেখিয়া কুভিযে বলিলেন এটা গণ্ডাবেব শিং। মেবা হাসিও •। কুভিযে যেমন তেমন পণ্ডিত ছিলেন না। যে কম্পাবেটিভ অ্যানাটমি' শাস্ত্রেব গুণে আড়া সেকালে ওদের সম্বন্ধে পণ্ডিবে এ কথা জানি পারিয়াছেন, আর আমি ৩াহ। পডিয। তোমাদিগকে ডাকি। এতগুলি আশ্চয কথা শুনাইতে বসিয়াছি ভিয়ে সেই কপাবেটিও অ্যানাটমি' শবে সৃষ্টিকর্তা। কুভিযেব ভু! ইযাছিল, ট্রাইসিবের্টন্স ইহাতে ইহাই বুঝা যাইতেছে যে, তিন শিংওয়ালা নিবামিষভোজী ডাইনোসর ২৫ ফুট লম্বা ছিল জন্তুটাব গঠন নিতান্তই অদ্ভুত ছিল। ইগুনোডনেব দাঁতেব বিষযটা শীঘ্রই পরিষ্কার হইল, কিন্তু ৩াহাব ঐ ‘গণ্ডাবেব শিং-এব’ মতন হাডখানাব অর্থ বুঝিতে কিছু সময় লাগিযাছিল। আমবা ছেলেবেলায় ইওযানেডিনেব যে সকল ছবি দেখিতাম, ৩াহাতে উহাব নাকেব উপব ৩কটা গণ্ডাবেব শিং-এব মতন একটি ছোট শিং থাকিত। শেষে ঐ জন্তুর আবো অনেক হার্ড পাওয়া গেলে পবে জানা গিয়াছে যে, উহা তাহাব শিং নহে, হাতের বুড়ো আঙুলের নখ। এই জন্তু নিবামিষ খাইত। | ইগুযানোেডনেব শিং ছিল না বটে, কিন্তু শিংওয়ালা ডাইনোসব সেকালে বিস্তব ছিল। এইরূপ একটা মাংসাশী জন্তুব নাম কিবাটোসোবস (শৃঙ্গী কুম্ভীব)। এই জন্তু প্রায় মিগালোসোরসের সমান বড়, আর ইহার নখ দাঁতও তেমনি ভয়ানক। ইহার নাকের উপব আর গণ্ডারের শিংএর মতন একটা ভয়ানক শিং। | আর একটার নাম ট্রাইসিরেটন্স (ত্রিশৃঙ্গানন, অর্থাৎ তিন শিংওয়ালা মুখ যার) ইহাকে দেখিলে বোধ হয়, যেন বেচারার গণ্ডার হইতে ভারি সাধ হইয়াছিল, আর তাহার জন্য সে বিশেষ চেষ্টাও করিযাছিল—পারিয়াছিল কি না, পাঠক-পাঠিকারা বলিবেন। যদি না পারিয়া থাকে, তাহাতে বিশেষ দুঃখের কারণ দেখি না। গণ্ডারের এক শিং, ইহার নি শিং। গায়ের