পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a প্ৰাতঃস্নানের ব্যবস্থা বিশেষভাবে প্ৰদান করিতেছেন। দিনচৰ্য্যা আলোচনা সময়ে বলা হইয়াছে যে, “সুস্থ ব্যক্তির পক্ষে সর্বদা প্রাতরুত্থান ও প্ৰাতঃস্নান বিধেয় । ঋতুচৰ্য্যা আলোচনায় জানা যাইতেছে শরৎকালে সৰ্বথা প্ৰাতঃস্নান বিধেয়। কেবল প্ৰাতঃ- * সুন্নান বলি কেন, শরৎকালে পিত্তপ্ৰশমনার্থ তাবৎ কৃত্যই করা উচিত। শরৎকালে প্ৰাতঃকালীন নদীর জল, যাহা হংসোদক নামে অভিহিত হইয়াছে, তাই কাফকারক নহে, অথচ পিত্তনাশক। সুতরাং শরতে পিত্তপ্ৰশমনার্থ নদীতে প্ৰাতঃস্নান করা একান্ত উচিত। আয়ুৰ্বেদ তন্ত্রকার ও স্মৃতিকার প্রাতঃস্নান সম্বন্ধে যে একমত, তাহা সুস্পষ্ট প্রতীতি হইতেছে। দুইজনেই জগতের হিতাকাঙক্ষী সন্দেহ নাই। একজন ঐহিক স্বাস্থ্যের কথা কহিতেছেন, অপরে পারিত্রিক পুণ্যের কথা বলিতেছেন। হিন্দুজাতি৷ ইহকাল পরকাল উভয়ই স্বীকার করিয়া থাকে : সুতরাং হিন্দুর নিকট স্বাস্থ্য ও যেমন আদরের জিনিষ, পারিত্রিক পুণ্যও সেইরূপ স্মৃহিণীয় বস্তু। শুনিয়াছি বড় বড় ডাক্তারগণও প্ৰাতঃস্নানের ব্যবস্থা দিতে কুষ্ঠিত হন না। তাহদের মধ্যে অনেকে প্ৰাতঃস্নান করিয়া থাকেন । তবে তাহদের মত প্ৰাতঃস্নান করিয়া অনাবৃত অঙ্গে থাকা উচিত নয়, গরম কাপড় পরিধান ও গরম ঘর ব্যবহার করা উচিত। হিন্দুজাতি প্ৰাতঃসুসানান্তে শুচি ও " শুদ্ধ রেশমী অথবা পশমী কাপড় পরিধান করিয়া, সোত্তরায় হইয়া দেবমন্দিরে প্রবিষ্ট হন ; এবং তুলসী চন্দন উশীর কপূর ইত্যাদি সদগন্ধবিশিষ্ট মনঃপ্ৰসাদকার সামগ্ৰী