পাতা:ঊনবিংশতি সংহিতা.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

of 8 অরোগিণীং ভ্রাত্নমতীমসমানীৰ্ষগোত্রজম্‌ ৷ পঞ্চমাৎ সপ্তমাদুৰ্দ্ধং মাতৃতঃ পিতৃতস্তথা ॥৫৩ দশপুরুষবিখ্যাতন্ত্রোত্রিয়াণাং মহাকুলাৎ । স্ফীতাদপি ন সঞ্চারিরোগদোষসমন্বিতাৎ ॥ ৫৪ এতৈরেব গুণৈযুক্তঃ সবর্ণ শ্রোত্রিয়ো বরং । যত্বাং পরীক্ষিতঃ পুংস্তে যুব ধীমান জনপ্রিয় ॥ ৫৫ যমুচ্যতে দ্বিজাতীনাং শূদ্রাদারোপসংগ্ৰহ: | ন তন্মম মতং যম্মত্তত্রায় জয়তে স্বয়ম্ ॥ ৫৬ হয় নাই এবং অপরের উপভুক্ত নহে, তাহাকে | অনন্তপূৰ্ব্ব কহে ), কান্তিমতী, অসপিণ্ড (পিতৃবন্ধু | হইতে অধস্তন পর্য্যস্ত সপ্তম এবং মাতৃবন্ধু হইতে | তিস্রে বর্ণাঙ্গপুধ্যে স্ব তথেক যথাক্রমম | ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়বিংশাং ভাৰ্য্যা স্ব শূদ্রজন্মনঃ । ৫৭ ব্রাগে বিবাহ আহয় দীয়তে শক্তালস্কৃত । তজ: পুনাতুভিযুক্ত পুরুষানেকবিংশতিম্।। ৫৮ যজ্ঞস্থায়াইজে দৈব অণদায়ার্ষস্ত গোস্বয়ম্ । তুর্দশঃ প্রথমজ: পুনাতু্যত্তরজশ্চ ষটু । ৫৯ ইত্যুক্ত চরতাং ধৰ্ম্মং সহ যা দীয়তেহর্থিনে। স কায় পাবয়েত্তজঃ ষট্রষড় বংষ্ঠান সহায়ন ॥ আমুরে দ্রাবণাদানদগন্ধৰ্ব্ব সময়ন্মিথঃ রাক্ষসে যুদ্ধইরণাৎ পৈশাচ; কম্ভাকাচ্ছলাৎ ॥ ৬১ পাণিগ্রহিঃ সবর্ণমু গৃহীয়াৎ ক্ষত্রিয়া শরম্। অধস্তন পঞ্চম পর্যাস্ত, সপিণ্ড কহে; তদ্ভিন্ন), বয়ঃ- যথাক্রমে, বক্ষণ (১) ক্ষত্রিয় (২) এবং বৈশু কনিষ্ঠ, অরোগিণী ( অর্থাৎ যাহার দুশ্চিf ৎস্য *রোগ নাই), ভ্রাতৃফুক্ত, অসমান-প্রবর, অসগোত্রা এবং মাতৃপক্ষ হইতে পঞ্চম পুরুষের ও পিতৃপক্ষ হইতে সপ্তম পুরুষের পরবর্ভিনী একটা সুলক্ষণা কস্তাকে বিবাহ করিবে । মাতৃপক্ষের পাঁচ পুরুধ এবং পিতৃপক্ষের পাচ পুরুষ এই দশ পুরুষের বিদ্যাদি গুণে অতি সুবিখ্যাত পুত্রপৌত্ৰ-দাস-দাসী-বনধাস্তাদি-সমুদ্ধ শ্রোত্রিয়দিগের অর্থাৎ বেদাদি-শাস্ত্রাধ্যায়ীদিগের মহাকুল হইতে বিবাহ করা নিয়ম বটে, কিন্তু কুষ্ঠ প্রভৃতি সঞ্চারী রোগ, কিংবা হীনক্রিয়ত্বাদি দোষ থাকিলে ঐ কুল হইতে ও কন্ঠ বিবাহ করা কর্তব্য নহে । ( পুরুষসন্তব্য ) এই সকল গুণযুক্ত এবং দোষবজ্জিত, সবণ * শ্রোত্রিয়, পুংস্তৃবিষয়ে বিশেষ যত্নসহকারে পরীক্ষিত, অস্থবির, বুদ্ধিমান এবং জনপ্রিয় ব্যক্তি, বরপাত্র হইবার উপযুক্ত। দ্বিজাতিগণ, শূদ্রজাতীয় কন্যাকে বিবাহ করিতে পরিবেন বলিয়া যে একটা কথা আছে, তাহা আমার সন্মত নহে, যেহেতু তাহাতে অর্থাৎ ভাৰ্য্যাতে স্বয়ং আত্মাই পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করে

  • সবর্ণ অর্থে উৎকৃষ্ট বর্ণ বা সমান বর্ণ।

} দ্বিজ পুত্রার্থী হইয়া শূদ্রাকেও বিবাহ করিবে না। তবে পুত্রোৎপত্তির পর। ভাৰ্য্যাবিয়োগ হইলে, কেবলমাঞ্জ রতিকাম হইয়া শূদ্রাকেও বিবাহ করিতে পরিবে, ইহাই বচনের তাৎপৰ্য্য। এইরূপ বিবাস্থিত স্ত্রীতেও পুত্র জন্মিতে পারে বলিয়া শূদ্রাগর্ভসম্ভুত দ্বিজপুত্রের ধমাধিকারের কথা উল্লিখিত হুইবে । নিম্নবর্ণোদ্ভব কস্তার সহিত উচ্চবর্ণীয় পুরুষের বিবাহ, পূৰ্ব্বকালে প্রচলিত ছিল ; এক্ষণে নিষিদ্ধ হইয়াছে । দিগের (৩) বর্ণের ক্রমিকস্ট্র অনুসারে তিনট (১) দুইট (২) এবং একটমাত্র (৩) ভাৰ্য্যা হইবে, অর্থাৎ ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণী, ক্ষত্রিয়, বৈশু ; ক্ষত্রিয়ের ক্ষত্রিয়, বৈশু ; বৈশ্বের একমাত্র বৈশ্বাই ভাৰ্য্যা ; আর শূদ্ৰজাতীয়ের স্বজাতীয়াই ভাৰ্য্যা হইবে। বরকে আহবান করিয়া তাহাকে যথাশক্তি অলঙ্কৃত কস্তা সম্প্রদান, যে বিবাহের নিম্পাদক, তাহাই ব্রাহ্মবিবা । সেই ব্রহ্মবিবাহে বিবাহিত পত্নীর গর্ভূজাত সস্তান দশজন পূৰ্ব্ব, দশজন পর এবং আত্মা . এই পূৰ্ব্বাপর একবিংশতি পুরুষকে পবিত্র করে । যজ্ঞস্থ ঋত্বিকৃকে ( দক্ষিণাৰূপে ) যথাশক্তি অলঙ্কত কস্ত সম্প্রদান, যে বিবাহের নিম্পাদক, তাহা দৈব | বিবাহ * গে-মিথুন-গ্রহণপূর্বক কস্তাদান দ্বারা নিম্পন্ন বিবাহ অর্ষবিবাহ । এই উভয় বিবাহের মধ্যে প্রথমেক্তি বিবাহে বিবাহিত পত্নীর গর্ভজাত সস্তান, পূৰ্ব্বাপর চতুর্দশ পুরুষ এবং শেষোক্ত পত্নীর গর্ভজাত পুত্র, পূৰ্ব্বাপর ছয়পুরুষ পবিত্র করে। “তোমরা দুইজনে একত্র ধৰ্ম্ম আচরণ কর” এই কথা (কস্তা ও জামাতার প্রতি ) বলিয়, প্রার্থিবরকে কন্যা প্রদান, যে বিবাহের নিম্পাদক, তাই প্রাজাপত্য। এই প্রাজাপত্যবিবাহে বিবাঞ্ছিত পত্নীর গর্ভোৎপন্ন পুত্র, ছয়জন পুৰ্ব্ববংশু ছয়জন পরবংশু এবং আত্মা ইহাদিগকে পবিত্র করে।৫১-- ৬• । শুদ্ধগ্রহণপূৰ্ব্বক কস্তাদান যে বিবাহের নিম্পাদক, তাহার নাম আমুরবিবাহ। পরস্পর, অমুরাগপ্রযুক্ত শপথপূর্বক বিবাহের নাম গান্ধৰ্ব্ববিবাহ ; সংগ্রামে অপহরণপূর্বক বিবাহের নাম রাক্ষসবিবাহ ; ছলফ্রমে অর্থাৎ কম্ভার নিদ্রাদি অবস্থায় হরণপূর্বক বিবাহের নাম পৈশাচবিবাহ । সবৰ্ণবিবাহে পাণি