পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জল রাঙা, ঘোলা—সেইটুকু জলে সব লোক নাইচে, গোরু বাছুরের গা ধোয়াচ্ছে। - - পরদিন সকালে খাওয়া দাওয়া করে বৃষ্টি মাথায় আবার বাড়ী রওনা হই। সারাপথটা বর্ষ। আর বাদলা-কিন্তু খুব ঠাণ্ড দিনট। আবার সেই ঘন বন—পাটুশিমলে থেকে গোবরাপুরের পথে দুজন চাষ লোকের সঙ্গে গল্প করতে করতে এলুম। আবার সেই ঘন tropical forestএর মত বন, বড় বড় কাছির মত লতা—পথ নির্জন, টুপটাপ করে জল ঝরে পড়ছে গাছের মাথা থেকে, আরণ্যশোভা কি অদ্ভূত। রাণীনগরের এপারে একটা সাকোর ওপর কতক্ষণ বসে বসে নীল আকাশের পটভূমিতে আঁকা গ্রামসীমার বাশবনের দিকে চেয়ে রইলুম। মোল্লাহাটি, ঘাট যখন পার হই, তখনও খুব বেলা আছে । আজ মোল্লাহাটির হাটবার, হাটে গিয়ে একটা আনারস্ব দরু করলুম। সুন্দরপুরের গোয়ালাদের একটা ছেলের সঙ্গে দেখা হোল। মনে পড়ছিল আজ ওবেলা যখন আসছিলুম পাটুশিলের ঘন ক্ষুদে জাম্বনের মধ্যের সেই পথটা দিয়ে—মনে হচ্ছিল আমি একজন বন্ধনহীন মুক্ত পথিক, দেশে দেশে এই অপূৰ্ব্ব রূণীলা মধ্যে দিয়ে বেড়িয়ে বেড়ানোই আমার জীবনের পেশা। কি আনন্দ যে হয়েছিল, কি অপূৰ্ব্ব পুলক, মুক্তির সে কি অমৃতময়ী বাণী ! কেন মানুষে ঘরে থাকে তাই ভাবি ৷ আর কেনই বা পয়সা খরচ করে মোটরে কি রেলের গাড়ীতে বেড়ায় ? BB BB BB BBB BB BBB SBBB BBBS B BBBBB BBSS00 BBB চড়ে বেড়ালে । ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ঘোড়ায় চড়ার আনন্দ আমি জানি। তার সঙ্গে কিছুরই তুলনা হয় না। মোল্লাহর্টর হাট ছাড়িয়েচি, পথে আমাদের গায়ের গণেশ মুচি নকৃফুল গ্রামে ছেলের বিয়ের সম্বন্ধ করতে যাচ্চে। ওকে দেখে বড় আনন্দ হয়— শাস্ত, সরল, সাধুপ্রকৃতির লোক বলে বাল্যকাল থেকে ওকে আপনার জনের মত দেখি । বেলা যাব-যাব হয়েচে দেখে একটু জোর পায়ে পথ হাটুতে সুরু করলুম। খুব রাঙ্গা রোদ উঠেচে চারি ধারে। খাব রাপোতা ছাড়ালুম, সামনে আইনদির শাড়ীর পেছনের প্রাচীন বটগাছট, আইনদির বাড়ীর মোড় থেকে