বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ঋষি রবীন্দ্রনাথ - অমলেন্দু দাশগুপ্ত (১৯৫৪).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
ঋষি রবীন্দ্রনাথ

দেখিতে পাইয়াছেন যে, হৃদয়ের স্তরে স্তরে যে বিষাদ ছিল, তাহা এক নিমিষেই ভেদ করিয়া সর্বত্র জ্যোতি ছড়াইয়া পড়িয়াছে। হৃদয়ের আস্তরণ গেলে থাকে অনাবৃত হৃদয় আর সেই অনাবৃত হৃদয়ের ‘বিষাদ’ গেলে থাকে কি? থাকে অনাবৃত আনন্দ। আর, যে জ্যোতি হৃদয় ভেদ করিয়া সর্বত্র ছড়াইয়া পড়িয়াছে, থাকে সেই জ্যোতি। দৃষ্টির আবরণ সরিলে হৃদয়ে এই যে আনন্দ, এই যে জ্যোতি প্রকাশিত হয়, ইহা কি? তাহাই ব্রহ্মের প্রকাশ-রূপ এই জীবদেহে এবং তাহাই জীবের আপন প্রকৃত স্ব-রূপ। কাজেই, দেখা গেল যে, জগতের সত্যরূপের সঙ্গে নিজের আত্মস্বরূপও এই প্রথম উপলব্ধিটিতেই রবীন্দ্রনাথের নিকট উদ্ঘাটিত হইয়াছে।