পাতা:ঋষি রবীন্দ্রনাথ - অমলেন্দু দাশগুপ্ত (১৯৫৪).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
ঋষি রবীন্দ্রনাথ

জ্যোতি ব্যতীত কি হইতে পারে? অর্থাৎ এই দীপ্তিময়ী শিখা উপনিষদের ব্রহ্মজ্যোতি ভিন্ন অপর কিছু নহে। দেহের যবনিকা যদি কেহ প্রকৃতই ভেদ করিতে পারেন, তবে এই জ্যোতিই তাঁহার দৃষ্টিগোচর হইবে। কারণ, সকল দেহ বা অস্তিত্বের ভিত্তিতে আশ্রয়রূপে এই ব্রহ্মজ্যোতিই অবস্থিত, সেখানে আর কোন জ্যোতিরই অস্তিত্ব সম্ভব নহে।

 রবীন্দ্রনাথের দৃষ্ট ‘অনির্বাণ দীপ্তিময়ী শিখা’-ই যে ব্রহ্মজ্যোতি, ইহা প্রমাণের জন্য আর অধিক বাগবিস্তারের প্রয়োজন করে না। এই ‘দীপ্তিময়ী শিখাই’যে ব্রহ্ম, তাহার সন্দেহাতীত প্রমাণ রবীন্দ্রনাথের প্রদত্ত বিবরণেই রহিয়াছে। তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করিয়াছেন যে, দেহের আবরণ উত্তীর্ণ হইয়া তিনি ‘অনির্বাণ দীপ্তিময়ী শিখা’র সাক্ষাৎ পাইয়াছেন।

 কোথায় কিম্বা কোন্ উপায়ে এই জ্যোতি দেখা যায়, তাহা যখন রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলিয়া দিয়াছেন, তখন সত্যাসত্য বিচারে কোন অসুবিধা হইবারই কথা নহে। রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ অনুসরণ করিলে গন্তব্য ব্রহ্মে অথবা অন্যত্র গিয়া পরিসমাপ্ত হয়, এই অনুসন্ধানই অতঃপর কর্তব্য।