পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুপাল্পেৰ আলো ५, cलद१७ किडू भान नां করে-চিঠিখনি তারই জেবে উহা খুলে ফেল্লেন। চিঠিতে এই লেখা ছিল। শ্ৰীযুত রঘুপতি চৌবে বরাবরেষু। আমি সিন্দূরতলা ছাড়তে পাচ্ছি না, বড় বিপদ। দেবেশের পুত্ৰ শুঠামলেশ চারদিনের জ্বরে প্রাণত্যাগ করেছে। একটা ব্যবস্থা না করে যেতে পাচ্ছি না । দেবেশের নিকট এই কথা গোপন রাখবে। এবং বলৰে আমি যত শীঘ্ৰ পারি, হরিদ্ধারে রওনা হচ্ছি । भट्ठु । চিঠি পড়ে দেবেশ এক ঘণ্টা কাল চুপ ক’রে বসে রইলেন, তারপর ঝর ঝর করে চোখের জল পড়তে লাগল। একদিকে তার রাধামাধব, একদিকে শুং মলেশ-সিন্দুর তলায় তার আর কে আছে ? হতভাগিনী তুলসীরঙ্গ বা কে আছে ? দেবেশের অজস্র অশ্র-বিন্দু তার পরিধেয় বস্ত্রের উপর পড়তে লাগল। কতদিন বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে শ্যামলেশ , দা ছেনে, গাছের বিচি বুনেছে! কতদিন দেবেশের ফরমাস পালন করতে তং বা ক্ষুদ্র শক্তির সমস্তটুকু প্রয়োগ করেছে। দেবেশ বাগান নিয়ে ব্যস্ত,---১০/১১ বছরের শিশু দৰ্শবার বাজারে ছুটেছে, দেবেশ পোপে খেতে ভালবাসেন,রোজ এক ক্রোশ দূরে লক্ষ্মণপুব হ’তে সে পোপে নিয়ে এসেছে—সিন্দরতলায় ভাল পোপে পাওয়া যায় না। তুলসব অসুখ হ’লে সে নিজে ঠাকুর-ভোগ বেধেছে, এতটুকুন শিশু ভোগের ডেগচী নামাতে গিয়ে এক দিন পা পুড়িয়ে ফেলেছিল, তা বাবা মাকে বলে নাই, তিন দিন পরে পায়ে बङ् ফোঙ্কা দেখে তুলসী তা' টের পান। রাত্রে বাগান দেখবার জন্য কতবার দেবেশ তাকে পাঠিয়েছেন, SQ\o