পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

veges Verter পরীক্ষা, কারণ বহুলোকের এটি অভিপসীত। জ্ঞানদায়িনী পরীক্ষায় নিজেকে রক্ষা ক’রতে পারলেন না, স্ত্রীলোকের জীবনের প্রধান লক্ষ্য হারিয়ে ফেল্পেন । প্রথম প্ৰথম স্বামীর প্রতি একটা অনুরাগের ফলে—তিনি অনুতপ্ত হ'য়েছিলেন। কিন্তু ক্ৰমে তার স্বামী তার নিকট প্রিয় বস্তু না হ’য়ে ভয়ের সামগ্ৰী হ’য় দাঁড়ালেন। এই জন্য কিশোর রায় হ’তে তিনি দূরে দুরে থেকে সোয়াস্তি বোধ ক'বৃতেন। কিশোর রায় তঁর চরিত্রে কখনই সন্দেহ করেন নাই-তঁাকে যে স্ত্রী ভালবাসেন না। এ সত্য এতটা জাজ্বল্যমান ছিল যে তিনি সেটি অবশ্যই বুঝে ছিলেন এবং তদ্দারুণ সৰ্ব্বদা অসহ্যু কষ্ট অনুভব ক’রতেন । -, ইতিমধ্যে ভুলক্রমে তঁর স্ত্রীর বালিসের নীচে রক্ষিত একখানি খোলা চিঠি পড়ে তঁর হৃদয়ে ঝটিকা উপস্থিত হ’ল। চিঠিটার অক্ষর জলে কতকটা মুছে গেছে—তাতে মনে হয়, যিনি লিখেছেন কিম্বা পড়েছেন, র্তার অজস্র অশ্রু ছত্রগুলির উপর বৰ্মিত হ’য়েছে। বনে যেমন আগুন লাগে, মনে ও সেইরূপ ‘আগুন লাগতে পারে। চিঠিখানি প’ড়ে কিশোর রায়ের প্রথম সত্যই বিশ্বাস হ’তে পারল না যে, জ্ঞানদায়িনী এমন হ’তে পারেন। প্ৰায় দুই ঘণ্টাকাল তিনি চিঠিখানি ধ’রে বসে রইলেন, তার প্রতিটি অক্ষর তার চক্ষে যেন ছুচ বিধুতে লাগল। r তিনি পিতার মৃত্যুর পর নিজেকে নিঃসহায় ভাবে সহধর্মিনীর হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন-জ্ঞানদা ভিন্ন তীব্র জগতে কে আছে ? এমন নয়ন জুড়ান ধন হারিয়ে তিনি কি ক’রে সংসাৰে থ 壹 ? তার চক্ষু হ’তে অজস্র জল পড়তে লাগল, তার পর চক্ষের জল শুকিয়ে গেলে মনে ভীষণ ७छ् छ् छ्’ । . sre8a