পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ভাবে অনেকক্ষণ বসেছিলেন, রাত্ৰি ৮টার পর জ্ঞানদা একবার স্বামীর ঘরে এসে তার এই ধ্যানশীল মূৰ্ত্তি দেখে চমকে উঠলেন-পর মুহূৰ্ত্তেই তার বিস্ময় দূর হ’ল, তিনি তার স্বামীর হাতে সেই চিঠিখানি দেখতে পেলেন, তখন অস্ফুট চীৎকার ক’রে চিঠিখানি নিয়ে খণ্ড খণ্ড ক’রে ছিড়ে ফেলে দিলেন, এবং কঁদতে কান্দতে র্তার স্বামীর পায়ের উপর প’ড়ে দুই হাতে মুখ ঢেকে অশ্রুজলে তার পা দুখানি অভিষিক্ত করলেন। কিশোর রায় আস্তে অথচ দৃঢ় ভাবে তার হাত দুখানি সরিয়ে দিয়ে সেই ঘর হ’তে বর হয়ে গেলেন। জ্ঞানদায়িনী অসম্বত অবস্থায় মেজেতে লুটোপুট ক’রে কােব্দুতে লাগলেন। । "রাত্রে রাজাবাবু নিজ শয়ন ঘরে গেলেন না। জ্ঞানদায়িনীও মেজো ছেড়ে শয্যায় শুইলেন না । লোকজনের নানা উপরোধ সত্ত্বেও তঁরা দু জনেই অভুক্ত রইলেন। বাড়ীর সকলে এটাকে সাধারণ দাম্পত্য-কলহ ব’লে মনে বা বুলি । S2.93