পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্সর অমালো “সে তোমার ভুল, কানাই বাবাজিকে সন্দেহ ক’র না । তিনি দেবতা, র্তার বিরুদ্ধে কিছু মনে ভাবা পাপা!” দেবেশ এই কথায় বিবক্ত হলেন। সরলা তুলসীদেবী যে কানাইকে চিনতে পারেন নি, এই কথাই তার মনে হ’ল। তিনি তুলসী দেবীর সঙ্গে আর কথা বলতে ইচ্ছা করলেন না । চােখ বুজে ঘুমের ভাণ ক’রে, পাশ-বালিসটা নিয়ে মোড় ফিরে দীকে শুধু বল্লেন, “যাও শীতলভোগের চেষ্টা দেখ, আমি একটু ঘুমিনে নিষ্ঠ ” কিন্তু ঘুমতি এলন। তার মনে হ’ল সুরু হ’তে তার,দাদা বাবাজিকে গোয়েন্দা ক’রে এখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন, বাগানটা হাত করবার জন্য। বাবাজির যত স্বাৰ্থত্যাগ, য'ত ভালবাসা, ত’ ছদ্মবেশমাত্ৰ--- তাব খোরাক জোগাচ্ছে হৃদয়েশের উৎকোচ । এই ভাবটি মনে হ'ল, গ তিনি হৃদয়ে উৎকট যন্ত্রণা বোধ করতে লাগলেন । এই যন্ত্রণা অপ্রত্যাশিত, হঠাৎ উৎকটভােব হৃদয়ে ঢুকেছে। দেবেশ ছট্‌ফট্‌ করতে লাগলেন। দ্বার কাহে যে সহানুভূতি পাবেন -- তার “পণ দেখতে পেলেন না, স্ট্র বাবা, জর ‘সরলতায় মুগ্ধ। ভাবতে ভাবতে প্রথম থেকে সব কথা। তিনি তন্ন তর ক’রে মনের ভিতর আলোচনা করতে ল: গলেন । একদিন সদয়েশের বিলটার, কথা বলতে বাবাজি বিরক্তির সুরে বলেছিলেন—“পরের জিনিষে লোভ কবুতে নাই,” এদিকে ইসদায়েশ যে তার প্রাণ নিয়ে টান দিয়েছে, তার পক্ষ হয়ে ‘নববৃন্দাবন’ বিক্রয় কবিবার অনুকূলে ও কমলা : কচ্ছেনছোট ছোট প্রত্যেক কথার এইরূপ বেঁকিয়ে অর্থ কবে তিনি স্থির সিদ্ধান্তে এলেন-যেমন রাজনারায়ণ-তেমনই বাবাজি-দুই মিত্ৰ ভাবে হৃদয়ে শের গোয়েন্দা । ভাবতে ভাবতে তার চোখে একটুও ঘুম এল না। চৈত্র নাস। . শোিমরাত্রে দোয়েল ‘ও বউকথা কও’ ডেকে উঠেছে, একডালে “চোখ গেলরে” আর এক ডালে কোকিল Crମ ज्ञाज्ञाङ्घ्रि ক’রে ডাকছে। সমস্ত গ্রামটি-তার একতল বাড়ী, NMO, SOC