পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিংক্লেভে দুর্গের অধিকার ও দাহন। ৩৩ ভিমুখে পলায়ন করিল। দুর্গাভ্যন্তরে শস্ত্রধারী পুরুষ অতি অল্পই ছিল। দুর্গবাসীর মধ্যে স্ত্রী ও যাজকের সংখ্যাই অধিক ছিল। তাহারা দুর্গপ্রাচীরের উপর হইতেই এই যুদ্ধ দেখিতেছিলেন ; এক্ষণে সেতু বিলম্বিত ও দুর্গদ্বার উন্মুক্ত করিয়া প্রাণভয়ে পলায়মান সেই সৈনিকবৃন্দকে আশ্রয় প্রদান কবিলেন। কিন্তু যৎকালে সেতু বিলম্বিত ও দুর্গদ্বার উন্মুক্ত হইয়াছিল, সেই অবকাশে শত্রু মিত্র মিশ্রিতভাবে দুর্গাভ্যন্তরে লব্ধপ্রবেশ হইল। ওয়ালেস্ ও তদীয় বিজয়ী সহচরবৃন্দ দুর্গমধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়া-বাল ও স্ত্রী এবং দুই জন যাজক ব্যতীত আর সকলকেই শমনসদনে প্রেরণ করিলেন। এই যুদ্ধে ওয়ালেসের পাচ জন মাত্র সঙ্গী নিহত হয়। ওয়ালে দুর্গের বাহিরে ও অভ্যন্তরে যে সকল মৃত দেহ ছিল, সে সমস্ত সমাধিনিহিত করিয়া, সেতু উত্তোলন ও দ্বারমুক্ত করিয়া নিরাপদে দুর্গমধ্যে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। সাত দিন এখানে বিশ্রাম করিয়া ওয়ালেস আব এখানে থাকা উচিত নয় ভাবিয়া দুর্গের যাবদীয় বহুমূল্য দ্রব্য লুণ্ঠনপূর্বক রাত্রিযােগে অদূরবর্তী “সর্টউড় সা” নামক অরণ্যে লুক্কায়িত কবিয়া রাখিয়া আসিলেন; ফিরিয়া আসিয়া বন্দীদিগকে উন্মুক্ত কবিয়া দুর্গে অগ্নি প্রদান পূৰ্ব্বক পুনবায় সেই অরণ্যে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। দমান দুর্গেব প্রচণ্ড অগ্নিশিখা চতুর্দিকস্থ অধিবাসিবৃন্দকে প্রকৃত ঘটনা জানাইল। এদিকে কাটেন বটলারের বিধবা রমণী উন্মুক্ত হইয়া সেন্ট জনগুন র্গের অধ্যক্ষ সার জিরার্ডহেরনের (Sir Gerard Heran) নিকট আসিয়া আমূল সমস্ত ঘটনা বিবরিত করিলেন। হেরন বুঝিলেন— কুহকী ওয়ালেসেরই এই কাৰ্য্য ; বুঝিয়া তৎক্ষণাৎ সহস্র সুসজ্জিত অশ্বারােহী সৈন্য লইয়া তাহার অনুসন্ধানার্থ বহির্গত হইলেন। এদিকে, ওয়ালে আক্রমণ-আশঙ্কায় অরণ্যমধ্যে একটী সুন্দর কাষ্ঠনির্মিত দুর্গ প্রস্তুত করিলেন; ছয়টী চক্রাকার কাষ্ঠনির্মিত প্রাচীরে দুর্গ টীকে আবৃত করিলেন; প্রত্যেক প্রাচীরে দুইটী করিয়া গুপ্ত দ্বার রাখিলেন, অভিপ্রায় এই যে, এক একটী প্রাচীর শক্ত