পাতা:ওয়ালেসের জীবনবৃত্ত - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কার্লে ও ষ্ঠীফেনের অনুসন্ধান। ৪১ তরবারির অগ্রভাগ দ্বারা তঁাহার কণ্ঠদেশে এক সাংঘাতিক আঘাত প্রদান করিলেন। আঘাত করিয়াই তাহারা দুইজনে অদৃশ্য হইলেন। এ দিকে সেই আঘাতেই হেরন্ ধরাশায়ী হইলেন। সকলেই স্থির করিল যে, ওয়ালেস্ নিশ্চয় অদূরে অবস্থিত আছেন, তিনি বা তৎসহচরবৃন্দের অন্যতর ভিন্ন এ কাৰ্য্য আর কেহই করে নাই। হেরনের মৃত্যুতে ইংরাজসৈন্য বিষাদসাগরে নিমগ্ন হইল। বটলার বিলুপ্তধৈৰ্য্য হইয়া উচ্চৈঃস্বরে কঁদিতে লাগিলেন। তিনি কিছুকাল নিস্পন্দ ও নিশ্চেষ্ট হইয়া রহিলেন। পবে কথঞ্চিৎ ধৈৰ্য্যাবলম্বন করিয়া চল্লিশ জন সৈন্যসহ হেরনের মৃতদেহ সমাধিনিহিত করিবার জন্য সেন্ট জনে প্রেরণ করিলেন; এবং অবশিষ্ট সৈন্যকে নানা ভাগে বিভক্ত কবিয়া ওয়ালেসের অনুসন্ধানাৰ্থ নানা দিকে প্রেরণ করিলেন। স্বয়ং কতকগুলি সৈন্য লইয়া অদূরবর্তী বন রক্ষা করিতে লাগিলেন। ওয়ালেস্ অধিত্যকাপ্রদেশের কিয়দ্র উঠিয়া প্রিয় সহচর কালে ও ষ্টিফেনকে না দেখিয়া তাহাদিগকে শত্রু-পরিগৃহীত মনে করিয়া শােকাকুলচিত্তে ত হইতে নামিলেন—ও চতুর্দিকে অনুসন্ধান আরম্ভ করিলেন। অনুসন্ধান করিতে করিতে অবশেষে তাহারা গাঙ্ক দুর্গে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। দুর্গের প্রশস্ত ও বায়ুসঞ্চালিত দালানে তাহারা শ্রান্তিদূব করিতে লাগিলেন। পার্শ্ববর্তী কৃষক ভবন হইতে দুইটা মেষ আনিয়া কাটিয়া রন্ধনপূর্বক তাহারা প্রবল ক্ষুধা নিবারণ করিলেন। আহারান্তে তাহার বিশ্রাম করিতেছেন, এমন সময় অদূরস্থত পাহাড় হইতে শৃঙ্গধ্বনি শ্রবণগগাচর হইল। এইরূপ শৃঙ্গধ্বনি ফরিয়া ছত্রভঙ্গ সৈন্যগণকে একত্রিত করা স্কটলণ্ডবাসীদিগের একটা প্রথা ছিল। ঐ শৃঙ্গধ্বনি কে করিল, জানিবার নিমিত্ত কৌতুহলােদ্দীপিত হইয়া ওয়ালেস প্রথমে দুই জনকে পাঠাইলেন। কিন্তু সে দুই জন ফরিল না। আবার সেই শৃঙ্গরব শ্রুত হইল, ওয়ালে আবার দুই জনকে ঠাইলেন। এ দুই জনও ফিরিল না। সে শৃঙ্গরবও শ্রবণবিদারণপূর্বক প্রবাহিত হইতে লাগিল। ওয়ালেস্ অধীর হইয়া এবার অবশিষ্ট নয়