পাতা:কথা বনাম কাজ - প্রমথনাথ রায়চৌধুরী.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা নাম কাজ না। ভাষাবিভাগের বিরুদ্ধে তুমুল মুখর আন্দোলন কি পণ্ড হইয়াছে ? এক্ষেত্রে একেবারে নিঃশব্দ হইয়া গিয়া হঠাৎ একটা কো-অপারেটিভ স্বদেশী খুলিয়া ফেলিলে খাস হইত বটে, কিন্তু ভাষাকে অক্ষুণ্ণ রাখা যাইত কি ষ্টোরনে সন্দেহ। - রবীক্তবাবুর নিজের স্বই ভিক্ষা কথাটা তাহাকে নিরর্থক গোলে ফেলিয়াছে। ভিক্ষার মধ্যে যে একটা দৈন্ত নিহিত আছে তাহ রবীন্দ্রবাবুকে পীড়ন করিতেছে। করিবারই কথা। কিন্তু উপায় যে নাই! যে স্পৰ্দ্ধায় জাপান রুষের সহিত দাবীদাওয়ার ভাষা চালনা করে, ঠিক সেই ওজনের দাবীই আমাদের মুখে ভিন্ন ভঙ্গীতে বাহির হইয়া যায় । ইহা পদলেহন নহে, ললাটলেখন । তবু দাবী, দাবীই ; ङिचका " नट्क् । সেই স্বাভাবিক স্বত্ব, সেই দ্যায্য অধিকার ত্যাগ করিলেই যে আমরা মানুষ হইব, তাহার কোন অকাট্য প্রমাণ নাই ; বরং বিরুদ্ধে যথেষ্ট যুক্তি আছে। । একজন মারিবার মতলব আঁটিয়াছে, তখন তাহাকে বুঝাইয়া প্রতিনিবৃত্ত করিতে যাওয়া দুৰ্ব্বলের কাপুরুষত নহে; মনুষ্মত্ত্বের ধৰ্ম্ম। আঘাত যখন উষ্ঠত, তখনই প্রত্যাঘাত অনিবাৰ্য্য। তার আগে নয়। সেই ধৈর্য্য, সেই সংহত-বীৰ্য যখন অন্যায়ের দ্বার হইতে লাস্থিত হইয়া আসে, তখনই তাহা দেবতা ও মানুষের নিকট প্রকৃত বল লাভ করিয়া সফল হয়। তার আগে নয়। r- - বর্তমানে যে অগ্নি জলিয়াছে, যদি উহা দেশব্যাপী হতাশের নিরবচ্ছিন্ন ফুৎকার ও ব্যর্থ-ক্রলানের গুপ্ত-ইন্ধন না পাইত, যদি উহা রাজারে অকারণে অবমানিত হইয়া না ফিরিত, তবে কি এমন প্রবল হইয়া উঠিত ? সেই হোমানলে বিদেশী বসন-ভূষণের যে সৎকার চলিতেছে, সমস্ত বাঙ্গলার উপেক্ষিত তপ্ত-অশ্ৰধার নিয়ত তাহাতে ঘৃতাহুতি যোগাইতেছে! ।