পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभड़याँ কেহ বলে উপদেবতার প্রভাব, আবার কেহ বা বলিয়া থাকে, নিভৃত প্রদেশের স্বভাব । নীলকমল এই দেবস্থানে বসিয়া কমলার আগমন প্ৰতীক্ষা করিতেছিলেন। অচিরেই দেখিতে পাইলেন অদূরে চূড়ামণির পশ্চাতে বনপথ আলো করিয়া তাহার পুত্ৰবধু আসিতেছে। বিরাজ প্ৰবাসযাত্রার সঙ্কল্প করিয়া যে পত্ৰ দিয়াছিল, সেখানিকে কমলা উপাধানতলেই রাখিয়া দিয়াছিল ; মাঝে মাঝে সে সেইখানি পড়িয়া দেখিত, আবার সেই স্থানেই রাখিয়া দিত। দুদৈববশে বিছানা ঝাড়িতে গিয়া একদিন তাহাতে অনঙ্গের চক্ষু পড়িল । যে কাগজের বিনিময়ে টাকা পাওয়া যায় তাহা ছাড়া অন্য কিছু কাগজপত্র রাখিবার যে কিছুমাত্র প্রয়োজন থাকিতে পারে অনঙ্গ তাহার দীর্ঘজীবনেও সে-কথা, বুঝিতে শিখে নাই। সে ঘর ঝাটাইয়া ধূলা ও জঞ্জালগুলি তাহাতে তুলিয়া পথে ফেলিয়া দিল। সেই পত্র কোন প্রকারে নীলকমলের হাতে গিয়া পড়িয়াছে। তাঁহারই ফলে তাঁহার এই শুভাগমন ও পুত্রবধূকে আহবান । হৃদয়ে যাহাঁদের ভক্তি আছে তাহারা স্বর্ণচূড় মন্দিরের কাঞ্চন প্রতিমায় বে দেবত্বের মহিমা অনুভব করে, ভগ্নচুড় মন্দিরের গঠনপারিপাট্যশূন্য উপলখণ্ডেও তাঁহাই করিয়া থাকে। কমলা আসিয়াই প্রথমে ভক্তিভরে দেবতার উদ্দেশে প্ৰণাম করিল, পরে শ্বশুরকে প্ৰণাম করিয়া তাহার আহবানের কারণ শুনিবার প্রতীক্ষায় একটি ধারে জড়সড় श्व gांश् ब्रश्लि। নীলকমল আশীৰ্ব্বাদ করিয়া পুত্রবধূকে বসিতে বলিলেন। কমলা বসিলে, তিনি এতদিন যে কারণে তাহার উদ্দেশ লইতে পারেন নাই ংক্ষেপে তাহ বলিয়া, উপস্থিত যাহা বক্তব্য তাহারই অবতারণা করিয়া