পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्भव!। বলিয়া, একটু থামিয়া গম্ভীরভাবে আবার বলিল, “মরণের মূৰ্ত্তি দু' রকমের, করুণ। -সুখেই যাদের জীবন কেটে এসেছে, দুঃখ কি - কখন বুঝতে পারে নি, তারা মরণের যে মূৰ্ত্তি দেখতে পায়, তা বড় ভয়ানক। তার জীর্ণ, শীর্ণ, কঙ্কালসার শরীর থেকে একটা দুৰ্গন্ধ বেরুচ্ছে, পচা মাংস খ’সে খসে পড়ছে, পোকা ন'ড়ে বেড়াচ্ছে —তার পোড়া কড়ির মত চোখের চাউনি দেখলেই প্ৰাণ শুকিয়ে যায়, সেচোখে সে যা দেখে তাই পুড়ে যায়, তার গায়ো বাতাসে, যা কিছু সুন্দর-সব কুৎসিত হ’য়ে যায় -কিন্তু মরণের আরও একটি মূৰ্ত্তি আছে, তা বড়ই সুন্দর! যারা চিরদুঃখী—যাদের সুখের বড় কুঁড়িটিও ফোট ফোট হ’য়ে পোড়া অদৃষ্টের তাপে শুকিয়ে ঝ’রে গেছে—দুঃখের জ্বালায় ভাজা ভাজা হ’য়ে বেঁচে আছে, তারা মরণের সেই মনােহর মূৰ্ত্তি দেখতে পায় ; তাতে তার চাউনি থেকে "করুণা ঝ’রে পড়ছে, কোমল মুখখানি মমতামাখা, বিশ্রাম আর সাম্বন দিতে, শান্তি-ভরা শীতল কোলে দুঃখীদের তুলে নেবার জন্যে কোমল মু’খনি ' झाऊ दछि6म्न ब्र'tश्नCछ !” করুণা যেভাবে চাহিয়া রহিল, তাহাতে বোধ হয় না যে, সে কমলার কথা কিছু বুঝিতে পারিয়াছে। নীরদ বলিল, “সত্যি, বোন!—আমরাও অভাগী বটে, কিন্তু তোর দুঃখে যেন বুক ফেটে যায় ! আহা-সব থেকেও কিছুই নেই!”-এই বলিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস পরিত্যাগ করিল। কমলা। আমার দুঃখে দুঃখু ক’রো না, দিদি -দুঃখে কেউ দুঃখুব জানালে, সে দুঃখু যেন আর সওয়া যায় না। বল যে—“আমার দুঃখু কিছুই নয়, এর চেয়েও অনেক ভারী দুঃখের বােঝা নিয়ে অনেক । অভাগী সংসারে . এসেছিল, সারা জীবনটা দুঃখের জালায় জ’লে পুড়ে [ Sው ፃ . >ዓ . '