পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা शै १-५८द उांन বাটনা রয়েছে দেখতে পাও নি ? আবার যে বড় বাটুতে ব’সেছ ?” কমলা ধীরে ধীরে বলিল, “বামুণ-মা যে ব’ললেন, মা !” ব্ৰাহ্মণ-ঠাকুরাণীও বলিলেন, “ধনে বাটনা বড় কম ছেল তাই আমিই একটু বেটে দিতে ব’লেছি।” কিন্তু সে কথা কে শুনে ? কাতায়নী ঝঙ্কার করিয়া-“অকম্মের ওপোর। আবার চোপা ?”-বলিয়া কমলার গালে একটা ঠোন মারিয়া চলিয়া গেলেন । আর একদিন কি একটা তরকারিতে আলু কম হইয়াছে বলিয়া ব্ৰাহ্মণ-ঠাকুরাণী কমলাকে চারিটি আলু, কুটিয়া দিতে বলেন। কমলা আনাজের চাঙ্গারী লইয়া আলু, কুটিতে বসিয়াছে, কাত্যায়নী আসিয়া বলিলেন, “হঁ৷ গা-কঁ্যাচু, কঁ্যাচ ক’রে কতকগুলো আলু, কুঁচিয়ে দিচ্ছ যে ? -- কমলা উত্তর করিবার পূর্বেই ব্ৰাহ্মণ ঠাকুরাণী বলিলেন, “ঝোলে বড় কম হ’য়েছে ব’লে আমিই দিতে ব’লেছি।” কাত্যায়নী সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া-“তেজ দেখ মুখে কথা নেই”-বলিয়া কমলার মুখে এমন একটা চাপড় মারিলেন যে, তাহার ঠোঁট কাটিয়া রক্ত ঝরিতে লাগিল । 幌 নির্যাতন ভোগ করিতে বিধাতা যাহাদিগকে সংসারে পাঠাইয়া দেন তাহাদের হৃদয় কি সাধারণের অপেক্ষা কিছু দৃঢ় করিয়া বাধিয়া দেন ? কমলার দেহ যাহা সহ্যু করিতে পারে না, তাহার হৃদয় তাহা অক্লোশে সহস্থা করিয়া থাকে। কাত্যায়নীর নির্দয় প্ৰহারে তাহার অঙ্গ ক্ষত হইয়া রক্তপাত হয়, কিন্তু তাহার নয়নে কেহ কোন দিন এক বিন্দু অশ্রু দেখিতে পায় না । পৌষের দুরন্ত শীত-তুলার গদিতেই যেন কে বরফ ঢালিয়া 8ાr ]