পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ উদে কণ অনায়াসে পুরুষহীন শক্রহীন পুরুষপুর নগর অধিকার করিয়া যুবরাজ ভট্টারক স্কন্দগুপ্ত মনে করিয়াছিলেন যে,তিনি দ্রুতপদে আততায়ী হ্ৰণ-সেনার পশ্চাদমুসরণ করিবেন । কিন্তু ভালুমিত্রের অবস্থা দেখিয়া তাহার সে আশী দূর হইল। ভানুমিত্র উন্মাদ হন নাই বটে কিন্তু সকলেই তাহাকে উন্মত্ত মনে করিয়াছিল । করুণা ও ঋষভদেব যে গৃহে বাস করিতেন, সেই গৃহে, কক্ষতলে শোণিতের চিহ্ন দেখিয়া ভানুমিত্র ব্যতীত সকলেই স্থির করিয়াছিলেন যে, করুণা হুণহস্তে ধৰ্ম্মরক্ষার্থ নিহত হইয়াছেন। কেহই ভানুমিত্রকে বুঝাইতে পারিল না যে, করুণাদেবী স্বর্গারোহণ করিয়াছেন । সুতরাং সকলেই স্থির করিল যে, শোকে গৌড়ীয় মহাবলাধিকৃতের মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়াছে। দুইদিন পুরুষপুরে অতিবাহিত হইল, ক্রমে স্বামীহীনা, পিতৃহীনা, পুত্রহীনা, রমণীগণ যুবরাজভট্টারকের নিকটে আসিয়া হৰ্ণবিজয়বার্তা জ্ঞাপন করিল, তাহারা একবাক্যে কহিল যে, তুণদিগের এক দেবী তাহাদিগকে মুক্তিপ্রদান করিয়াছেন। হ্রণদেবীর কথা শুনির স্কন্দগুপ্ত ও মাগধ-সেনানায়কগণ বিস্মিত হইলেন বটে, কিন্তু জীবিত দেবীর সমস্ত পূরণ করিতে পারিলেন না। তৃতীয় দিবসে কপিশা, গন্ধার ও উদ্যানের হতাবশিষ্ট মাগধ সেনা পুরুষপুর নগরে উপস্থিত হইল, যুবরাজভট্টারক তক্ষশিলাভিমুখে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হইলেন । যাত্রাকালে এক স্থবির পতিপুত্রহীন, পুরুষপুরবাসিনী