ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ළුම්ද নর-রক্তে প্লাবিত, প্রজার আর্তুনাদে কণ বধির হইতেছে, সেনাদল ছিন্ন ভিন্ন, সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল । তুমি কি সেই কুমার গুপ্ত ? সপ্রা ও শুভ্রমতী-তারে তুমিই কি শক্রবৃষ্টি ভেদ করিয়াছিলে ? উঠ, মহারাজ, ইহা বিলাসের সময় নহে। আজি পবিত্র আঘ ভূমি অস্পৃশু বধ্বরের কলুষিত পাদস্পশে কলঙ্কিতা, চন্দ্র গুপ্তের পুত্র, সমুদ্র গুপ্তের পৌত্র, তাই। শুনিয়া কেমন করিয়া স্থির হইয়া আছ ?” মহারাজপুত্রের উক্তি শেষ হবার পূৰ্ব্বে, মঙ্গদেবীর চেতনা ফিরিল, তিনি যুবরাজের দিকে অঙ্গুলীসঞ্চালন করিয়া বলয় উঠলেন, “উহাকে দূর কর, দূর কর । মা তাকে হত্যা করিপ্পাছে, এখন আমাকে হত্য করিবে ।” এতক্ষণে সমাটের বাকুশক্তি ফিরিয়! আসিল, তিনি · ব্যস্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাহাকে দূর করিব ? কে তোমাকে হত্যা করিবে ?” দ্বিতীয়বার যুবরাজের দিকে অঙ্গুলীসঞ্চালন করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “ঐ, ঐ—উতাকে দূর কর, শাস্ত্র দূর কর, নতুবা আমি মরিব ।” এই সময়ে গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “মহারাজ, সাম্রাজ্যের বিষম বিপদ বুঝিয়া রাজদর্শনে আসিয়াছি, সাম্রাজ্য-রক্ষা আমার পক্ষে অসম্ভব হইয়া डेठिंब्राइ--” “উতাকে দূর কর, শাস্ত্র দূর কর, আমার শ্বাসরুদ্ধ হইতেছে।” “গুন, মহারাজ, এই রমণী উন্মাদিনী, ইহার স্তায় শত শত উন্মাদিনী হণযুদ্ধে পতি-পুত্র হারাইয়া পথে পথে ভ্রমণ করিতেছে। তাত, এখনও চেতন হও, নতুবা সি প্রা ও শুভ্ৰামতার যশ স্কুণ-যুদ্ধের কলঙ্ককালিম আবরণ করিতে পরিবে না, চিরদিন, আর্য্যাবস্তুরাসা তোমার কলঙ্ক ঘোষণা করিবে—” “শীঘ্র দূর কর, শীঘ্র দূর কর, এপন ও করিলে না ?” বৃদ্ধ সম্রাটু মৃদুস্বরে কহিল্লেন, “স্কন্দ, তুমি দূরে সরিয়া যাও।” কিয়ৎক্ষণ স্তম্ভিত হইয়া থাকিয়া মহামাজ-পুত্র শোবিন্দগুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, “কি
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৪১
অবয়ব