পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ఫిః কলিকাতা সেকালের ও একালের । নিয়োজিত হইত। পাটনা, কাশিম-বাজার প্রভৃতি ফ্যাকটারী হইতে মালামাল অনিয়নকালে বা পৌছিয়া দিবার সময় প্রহরীর কার্য্য করা প্রভৃতি ব্যাপারেন্ট ষ্টহীরা প্রধানতঃ নিয়োজিত হইত । কৌন্সিলের প্রেসিডেন্ট সাহেবই সৰ্ব্বোপরি কর্তৃত্ব করিতেন। ইনিই *গবর্ণর’ নামে পরিচিত ছিলেন । ইহার অধীনে, একটা কোন্সিল বা মন্ত্রণাসভা ছিল । গবর্ণর সাহেব এই মন্ত্রণা-সভার সভাপতি ছিলেন । দ্বিতীয় সদস্যপদ প্রায়ই কাশিম-বাজার, পাটনা প্রভৃতি কুঠীর অভিজ্ঞ কৰ্ম্মচারীরা পাইতেন । সভার তৃতীর সদস্য—হিসাব-রক্ষক বা একাউণ্ট্যান্টের কার্য্য করিতেন । পঞ্চম ও যষ্ঠ সদস্য—যথাক্রমে আমদানী ও রপ্তানী মালগুদামের মালামালের সর্বময় কৰ্ত্ত ছিলেন । সপ্তম সদসা—বক্সী বা থাতঞ্জি বলিয়া উল্লিখিত হইতেন । কোম্পানীর টাকা কড়ি ইহঁ}র হাত দিয়াই খরচ হইত। সকেন্সিল গবৰ্ণর, যখন যে কাজে অর্থ ব্যয় করিবার ইচ্ছা করিতেন—তাহার আদেশ এই বক্সী সাহেবকেই দেওয়া হইত। কৌন্সিলের অষ্টম ব্যক্তি—কোম্পানীর অধিকৃত গ্রাম-ত্রয়ের জীদারীর হিসাব রাখিতেন । ইনিই “কালেকটার বা জমীদার’ নামে অভিহিত হইতেন । জৰ্মী প্রজা-বিলি করা, তাহার খাজনা আদায় করা, সহরের উন্নতি করা, প্রজাকে দাখিলা দেওয়া, পাট্রাকবুলতি দেওয়া, বাজার সমূহের নির্ধারিত শুষ্ক আদায় করা, নগরের শান্তিরক্ষণ করা, জমীদারের নিৰ্দ্ধারিত কার্য ছিল। জমীদারের অধীনে যে দেশীয় কৰ্ম্মচারী থাকিতেন, তিনিই ব্ল্যাক-জমীদার নামে অভিহিত হইতেন । কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিগণের বেতনের হার কিরূপ ছিল, এখন তাহার আলোচনা করা যাউক । প্রেসিডেন্ট ও পাদরী সাহেব, প্রত্যেকেই বাৎসরিক একশত পাউণ্ড বা নৃানাধিক পনরশত মুদ্রা বেতন পাইতেন। কৌন্সিলের মেস্বরেরা, প্রত্যেকে বৎসরে সাড়ে ছয়শত টাকা বা চল্লিশ পাউণ্ড বেতন পাইতেন। পূৰ্ব্বে আমরা যে ডাক্তার হামিলটনের কথা বলিয়াছি, যিনি সম্রাট ফরকশিয়ারের পীড়া আরোগ্য করিয়া যশস্বী হইয়াছিলেন, তিনি বৎসরে ৩৪ পাউণ্ড বা নৃানাধিক পাঁচশত টাকা বেতন পাইতেন । কোম্পানীর যে সমস্ত সাহেব কৰ্ম্মগরী, কলিকাত দুর্গের মধো না থাকিয়া সহরে থাকিতেন, তাঙ্গর বাড়ী ভাড়া ইত্যাদি বাবত ৩০ টাকা করিয়া প্রতিমাসে অতিরিক্ত ভাত পাইতেন । মাছার দুর্গমধ্যে থাকিতেন— গুঁ হীরা একত্রেই আহার, করিতেন ।