পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nరిది 8 কলিকাতা সেকালের ও একালের । অসুবিধা হইয়া পড়ে। কড়ির পরিবর্তে তাম্র কিম্বা রৌপ্য-নির্মিত “অনির” প্রচলন হইলে, বড়ই কাজের সুবিধা হয়। কোম্পানীর দুই জন “সরফ" এখানে আসিয়৷ কড়ি ও অগনির আদান-প্রদান কার্য্যের ভার লইবেন, এইরূপ ব্যবস্থাই সুবিধাকর । এই সরফেরা, কড়ির জন্য কোনরূপ বাট্টার দাবী করিতে পরিবেন না। কারণ এরূপ বাটা লইলে গরীব শ্রমজীবিগণের ক্ষতি হইবে ও তাহার কার্য্যে আসিবে না।” (Proceedings Oct-13–1757. ) গঙ্গারাম ঠাকুরদিগের দরখাস্ত। নবাব কর্তৃক কলিকাতা আক্রমণের সময়, গঙ্গারাম ঠাকুর, নকুড় সরকার প্রভৃতি ব্যবসায়িগণ, কোম্পানীর তৎকালীন প্রয়োজন মত, বস্তাসমেত চাউল বিক্রয় করিয়াছিল । নবাব কলিকাতা অবরোধ করিলে তাহারা কলিকাতা ছাড়িয়া ভয়ে পলায়ন করে । কলিকাত। ইংরাজের পুনরধিরুত হইলে, তাহারা পুনরায় কলিকাতায় ফিরিয়া আসে ও তাহীদের প্রদত্ত মালের মূল্যের জন্য, কলিকাতা-কৌন্সিলের সেক্রেটারী সাহেবের নিকট দরখাস্ত করে। সেই দরখাস্তের অনুবাদ এই— “অনারেবল রজার ড়েক সাহেব মহোদয় ও তদধীনস্থ কৌন্সিল বরাবরেষু—” “কলিকাতার ব্যবসায়ী গঙ্গারাম ঠাকুর ও নকুড় সরকারের বিনীত দরখাস্ত এই—আমরা অতি সন্মানের সঙ্গিত জানাইতেছি, গত জুন মাসে ( ১৭৫৬ ) নবাব স্বপন কলিকাতা আক্রমণ করেন, সেই সময়ে কোম্পানীর ব্যবহারের জন্য, আমরা চাউল ও অনেকগুলি বস্তা, বকসীখানায় পাঠাইয়াছিলাম। আমরা আশা করি, এই চাউল ও বস্তা প্রভৃতির মূল্যদানে আদেশ দিয়া অামাদিগকে বাধিত করিবেন। আমরা কলিকাতার জমীদার সাহেবের মুণে শুনিলাম, অন্যান্স ব্যবসায়ী ও দোকানদারগণ তাহীদের প্রাপ্য চুকাইয়া পাইয়াছে। আমাদের দরখাস্ত করিতে যথেষ্ট বিলম্ব হইয়াছে—কারণ নবাবের আক্রমণ সময়ে, আমরা কলিকাতা ছাড়িয়া পলাইয়া যাই ও সম্প্রতি ফিরিয়া আসিয়াছি। আমরা প্রথমতঃ সেক্রেটারি সাহেবের নিকট এই পাওনা টাকার জন্ত দরখাস্ত করি। কিন্তু তিনি আমাদের জানাইয়াছেন—পূৰ্ব্বোক্ত দোকানদারগণের প্রাপা চুকাইয়া দিবার পর আপনার আদেশ করিয়াছেন, আর কৈহাকেও প্রাপ্য টাকা দেওয়া